বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা প্রতিরোধসামগ্রী উৎপাদনে ৫ লাখ ডলার পর্যন্ত সহায়তা

  •    
  • ১৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:৪৭

কর্মসূচির আওতায় করোনা প্রতিরোধে পণ্য ও সেবাসামগ্রী উৎপাদনে যারা স্থানীয়ভাবে প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদেরকে বিনিয়োগ সহায়তা হিসেবে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ডলার থেকে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত অনুদান দেয়া হবে। এই টাকা কখনও ফেরত দিতে হবে না।

করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী উৎপাদন ও বিনিয়োগে অনুদান পাবেন উদ্যোক্তারা। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জব (ইসিফোরজে) প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের এই বিনিয়োগ সহায়তা দেবে সরকার।

এ লক্ষ্যে উইন্ডো-৪ নামে নতুন একটি কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।

রোববার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এ কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়ান টিমবন উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচির আওতায় করোনা প্রতিরোধে পণ্য ও সেবাসামগ্রী উৎপাদনে যারা স্থানীয়ভাবে প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদেরকে বিনিয়োগ সহায়তা হিসেবে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ডলার থেকে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত অনুদান দেয়া হবে।

এই টাকা কখনও ফেরত দিতে হবে না। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৫০ উদ্যোক্তা-প্রতিষ্ঠানকে আগামীর বিনিয়োগে এই অনুদানের জন্য নির্বাচিত করা হবে।

রোববার থেকেই এ কর্মসূচির যোগ্য আবেদনকারীরা বিনিয়োগ সহায়তা জন্য আবেদন করতে পারবেন।

যেসব উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), ডায়াগনোস্টিক ইকুইপমেন্ট, ক্লিনিক্যাল কেয়ার ইকুইপমেন্ট উৎপাদন করেন তারা এই সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

যারা মেডিক্যাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট এমপিপিই পণ্যের ডিজাইন ও কারিগরি মানের উন্নয়ন, প্যাকেজিং ও বৈচিত্র্য আনয়ন এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন প্রণয়ন, এমপিপিই পণ্যের সহায়তামূলক কর্মকাণ্ড যেমন, গবেষণা, পণ্য উন্নয়ন, টেস্টিং ও সার্টিফিকেশন এবং নতুন উদ্ভাবন করছে সেসব উদ্যোক্তা-প্রতিষ্ঠানও প্রকল্পের আওতায় বিনিয়োগে অনুদান পাবেন।

অনুদান আবেদনকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিভুক্ত হলে এ প্রকল্প থেকে ৬০ শতাংশ বিনিয়োগ সহায়তা পাবেন। আর আবেদনকারীর অংশগ্রহণ থাকবে ৪০ শতাংশ। এছাড়া বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সহায়তা হবে ৫০ শতাংশ।

বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাফর উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নতুন কর্মসূচির (উইন্ডো ফোর) বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রকল্পের এক্সপোর্ট রেডিনেস ফান্ড (ইআরএফ) কর্মসূচির টিম লিডার ডেভ রাঙ্গানাইকালু।

তিনি জানান, এ কর্মসূচির জন্য বিনিয়োগ সহায়তা পরিমাণ হবে ৭৫ লাখ ডলার।

এ কার্যক্রম ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ কর্মসূচি একটি মাইলস্টোন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও চিকিৎসা সামগ্রীর চাহিদা ও সরবরাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) উৎপাদন, ডায়াগনস্টিক ইক্যুইপমেন্ট ও ক্লিনিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট তৈরিতে যুক্ত উদ্যোক্তারাও বিনিয়োগ সহায়তা পাবেন।’

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের এই সময়ে এ ধরনের সৃজনশীল পণ্য উৎপাদনে উদ্যোক্তাদের যে অনুদান দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা বৈশ্বিকক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হবে।

‘এ ধরণের উদ্যোগ স্থানীয় উদ্যোক্তাদের বিশ্ববাজারে প্রবেশেও অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।’

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়ন টিমবন করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এতে বিশ্বব্যাংকও এগিয়ে এসেছে। করোনা প্রতিরোধসামগ্রীর উৎপাদনে নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে পাঁচশটির মত আবেদন এই কর্মসূচির সুবিধা পাবে।

সচিব জাফর উদ্দিন বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর আমাদের ৫ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ক্ষতি হতে পারে। তবে এতে আমরা ভীত নই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবো। আমাদের মূল কাজ পন্য ও বাজার বহুমূখীকরণ করা। ইসিফোরজে প্রকল্পের মাধ্যমে তা সহজ হবে। নতুন এ কর্মসূচীতে যোগ্য আবেদনকারীদের মধ্যে ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে সহযোগিতা দেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ইসিফোরজে প্রকল্পের পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ইসিফোরজে নামক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মূলত চারটি খাতের উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগী সক্ষম করে গড়ে তুলতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে করোনা প্রতিরোধী সামগ্রী তৈরির সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে, যা সিইআরএফ নামে পরিচিত।

এ বিভাগের আরো খবর