বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুঁজিবাজারে উত্থান অব্যাহত

  •    
  • ১৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:১০

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে দ্বিতীয় কার্যদিবসে রোববার লেনদেন হয়েছে মোট ৬০২ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৫৬ কোটি টাকা। ফলে আগের দিনের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪৬ কোটি টাকা।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারের আরোপ করা কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও অব্যাহত আছে পুঁজিবাবারের উত্থান।

১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এক সপ্তাহের বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো হয়েছে পুঁজিবাজারে লেনদেন। আড়াই ঘণ্টার লেনদেনে এদিন সূচক বেড়েছে। বেড়েছে লেনদেনও। লেনদেন হয়েছে ৬০২ কোটি টাকা।

পাশাপাশি ইতিবাচক ছিল লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।

ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজারের লেনদেন সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। পুঁজিবাজারে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হলেও ব্যাংক খোলা থাকছে সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত।

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারে বেড়েছে কোম্পানির শেয়ারের দর

৭ এপ্রিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়। তবে প্রথম সিদ্ধান্তে এসব কোম্পানির ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ সুবিধা না দিলেও পরে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এ কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারলেও কমবে ২ শতাংশ বলে জানানো হয়।

এমন সিদ্ধান্তের পর লেনদেনে ঢালাওভাবে ৬৬ কোম্পানির শেয়ার দর ১০ শতাংশ বা তার কাছাকাছি পতন হয়েছিল। পরে যখন দর কমার হার ২ শতাংশ করা হয় তখনও পতন থামেনি। দেখা গেছে, সর্বশেষ লেনদেনে ৫৯টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। আর দর বেড়েছিল মাত্র ৫টির।

এস্কিউ নিট কম্পোজিট লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সেন্ট্রলফার্মার শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। ফ্যামিলি টেক্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৪ শতাংশ। আইপিডিসির শেয়ার দর বেড়েছে ৪ দশমকি ৬৮ শতাংশ।

আরএসআরএম স্টিল মিলসের শেয়ার দর বেড়েছে ৩ দশমিক ১২ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৯ টাকা ৮০ পয়সা।

সিলভো ফার্মার শেয়ার দর বেড়েছে ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬ টাকা ৮০ পয়সা।

ইউনিক হোটেলের শেয়ার দর বেড়েছে ২ দশমিক ৮১ শতাংশ। সঙ্গে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৬ টাকা ৫০ পয়সা।

আরএস স্পিনিং মিলসের শেয়ার দর বেড়েছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা।

নাভানা সিএনজির শেয়ার দর বেড়েছে ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এদিনে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪ টাকা ১০ পয়সা।

এডিএন টেলিকমের শেয়ার দর বেড়েছে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪২ টাকা ৪০ পয়সা।

রূপালী ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ৮৩ শতাংশ। শেয়ার দর ২৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। এ ছাড়া স্ট্যান্ডান্ড ইনসুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ৭৭ শতাংশ। শেয়ার দর ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা।

বহুজাতিকের দামে ছিল মিশ্রা ভাব

রোববার লেনদেনে বহুজাতিক ও দামী শেয়ারের দরে ছিল মিশ্রাবস্থা। এদিন রেকিট বেনকাইজারের শেয়ার দর কমেছে ২০ টাকা ৭০ পয়সা। লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৮২ টাকায়। আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৪ হাজার ৬০২ টাকা।

ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার লিমিটেডের শেয়ার দর কমেছে ৪ টাকা। আগের কার্যদিবসের ২ হাজার ৮০৩ টাকা থেকে রোববার লেনদেন শেষে হয়েছে ২ হাজার ৭৯৯ টাকা।

ম্যারিকো লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ২৫ টাকা ৫০ পয়সা। আগের কার্যদিবসে ম্যারিকো লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৯ টাকায়। রোববার তা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৭৫ টাকা।

বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ার দর কমেছে ৮০ পয়সা। লিন্ডে বিডির শেয়ার দর কমেছে ৬ টাকা ৮০ পয়সা। রেনেটা লিমিটেডের শেয়ার দর কমেছে ৭০ পয়সা। ওয়ালটন হাই-টেক লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯০ পয়সা।

যা বলছেন বিশ্লেষকরা

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক পুঁজিবাজার, এটা অনেকটাই আস্থার প্রতিফলন। আমরা দেখেছি করোনার কারণে পুঁজিবাজার বন্ধ হয়ে যাবে এমন গুজবেও পুঁজিবাজারে শত পয়েন্টের বেশি সূচক পতন হয়েছে। সে অবস্থা থেকে এখন যে অবস্থায় আছে সেটি আশার বিষয়।’

তিনি বলেন, মাঝে ফ্লোর প্রাইসের কারণে সূচকের পতন হয়েছিল। সেগুলোর দরও এখন বাড়ছে। এ ছাড়া দু-তিনদিন সূচক বাড়লে তারপর একদিন সূচক কমলে সেটি আতঙ্কের বিষয় না। বরং এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

সূচক ও লেনেদন

রোববার লেনদেনের শুরুতে সূচক এক সময় বেড়েছে, আর এক সময় কমছে। লেনদেন শুরু হওয়ার পর ৪ মিনিটে সূচকের উত্থান হয় ১৫ পয়েন্ট। তার দুই মিনিট পর সূচকের পতন হয় ৫ পয়েন্ট। এভাবে চলতে থাকে ১৫ মিনিট।

তারপর ১০টা ২২ মিনিটে সূচকের পতন হয়ে ৩২ পয়েন্ট। পতনের এ ধারা অব্যাহত থাকে ১০টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত। তারপর আবার উঠে দাঁড়ায় সূচক। সেই উত্থানেই শেষ হয়েছে রোববারের লেনদেন।

দিন শেষে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৩১ পয়েন্টে।

শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক বেড়েছে ১৩ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট।

এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৩টির, কমেছে ১৬৫টির। দর পাল্টায়নি ৮০টির।

লেনদেন হয়েছে মোট ৬০২ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৫৬ কোটি টাকা। ফলে আগের দিনের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪৬ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ৯৫টির। দর পাল্টায়নি ৩৬টির। এ সময়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর