বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া আরও সহজীকরণের তাগিদ

  •    
  • ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ২২:২০

ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) আয়োজিত ‘প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সভায় বলা হয়, রাজস্ব আদায় বাড়াতে হলে কর হার কমাতে হবে। একই সঙ্গে কর ব্যবস্থা সহজ করতে হবে।

আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন ও আরও সহজীকরণের তাগিদ দিয়েছেন চ্যার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টরা।

তারা বলেছেন, বাংলাদেশ কর হার অত্যন্ত বেশি। যে কারণে কর-জিডিপি অনুপাত বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। বাংলাদেশের কর ব্যবস্থার উন্নতি হলেও প্রতিবেশী দেশসহ অনেক দেশের তুলনায় পিছিয়ে আছে এখনও।

রাজস্ব আদায় বাড়াতে হলে কর হার কমাতে হবে। একই সঙ্গে কর ব্যবস্থা সহজ করতে হবে।

শনিবার ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) আয়োজিত ‘প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর নীতিমালা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন তারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টদের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, ‘আমাদের রাজস্ব ব্যবস্থা এখনও জটিল, এটা ঠিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলে থাকেন, আইন কানুন সহজ করতে, যাতে জনগণ উপকৃত হন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করতে হবে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, নিয়ম যত সহজ হবে, কাজের গতি তত বাড়বে। আযকর রিটার্ন ফরম আরও সহজ করার পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএবির সভাপতি মাহমুদুল হাসান খসরু। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে স্নেহাশীষ বড়ুয়া ও আল মারুফ খান এফসিএ।

আইসিএবির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা শুভাশীষ বসুর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (আয়কর নীতি) আলমগীর হোসেন, সদস্য (শুল্ক নীতি) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, সদস্য (মূসক নীতি) মাসুদ সাদিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন হুমায়ুন কবির এফসিএ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে এনবিআর সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, নতুন আয়কর আইনের খসড়া প্রায় চূড়ান্ত। শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। প্রস্তাবিত আইনে অনেক পরিবর্তন আসছে। এতে আইন-কানুন অনেক সহজ করা হয়েছে। করদাতারা উপকৃত হবেন বলে জানান তিনি।

আগামী বাজেটে উৎসে কর হার কমানোর আভাস দিয়ে আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতিসহ অনেক খাত আছে যেখানে কর আহরণের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এসব খাতকে কর নেটে আনার কাজ চলছে। একটি আধুনিক, স্বচ্ছ ও জনবান্ধব রাজস্ব বিভাগ গড়ে তুলতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

এনবিআর সদস্য সৈয়দ গেলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমদানি পর্যায়ে মিথ্যা ঘোষণার বিষয়ে অনেকই অভিযোগ করেন। আমরা বিষয়টি আমলে নিয়েছি এবং অভিযোগসমূহ নিষ্পত্তির জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

এনবিআর সদস্য মাসুদ সাদিক বলেন, নতুন ভ্যাট আইনে অনেক বিষয়ে সমালোচনা রয়েছে। এগুলো পর্যালোচনা করে আগামী বাজেটে প্রতিফলন ঘটানো হবে।

তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের বড় একটি সমস্যা হচ্ছে, তারা হিসাব ঠিকমতো সংরক্ষণ করেন না। সরকারের উদ্দেশ্য ব্যবসা সহজ করা। আসন্ন বাজেটে এর প্রতিফলনের আশ্বাস দেন তিনি।

আইসিএবির সভাপতি মাহমুদুল হাসান খসরু বলেন, বাংলাদেশের কর হার অত্যন্ত বেশি। কর কমানো হলে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় বাড়বে বলে জানান তিনি। বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যবস্থাকে আধুনিক ও সহজীকরণের পরামর্শ দেন তিনি।

স্নেহাশিষ বড়ুয়া ও আল মারুফ খান মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যবস্থার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন এবং সমাধানের সুপারিশ করেন।

কর অব্যাহতি নীতির পর্যালোচনার পরামর্শ দেন স্নেহাশীষ বড়ুয়া। কোন কোন খাতে অব্যাহতি দেয়া উচিত এবং কোন খাতে দেয়া ঠিক না তা পর্যালোচনায় একটি রিসার্চ সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব করেন তিনি।

গবেষণা, উৎপাদনভিত্তিক শিল্প ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা দেয়ার প্রস্তাব করেন আল মারুফ খান। বিদ্যমান ভ্যাট আইনে অব্যাহতিসহ অনেক বিষয়ে নানা ধরনের অসংগতি ও ত্রুটি রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পরিবর্তনের কথা বলেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর