বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এস. আলমের সঙ্গে চুক্তি বাতিল দাবি বিশিষ্টজনদের

  •    
  • ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:৫৮

বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় ৬৮ বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘এমন নির্মম ও অবিবেচনাপ্রসূত হত্যাকাণ্ড ক্ষমতার অপপ্রয়োগ এবং চরম অনাচারের শামিল।’

চট্টগ্রামের বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে ডাকা সমাবেশে পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনাকে আইনের শাসন পরিপন্থি, গর্হিত অপরাধ ও গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য লজ্জাকর বলে উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছেন লেখক, শিক্ষক, আইনজীবী, অধিকারকর্মীসহ ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

এই ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার-বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে দোষী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তারা।

শনিবার সন্ধ্যায় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পক্ষে বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোটের (বিডাব্লিউজিইডি) সদস্য সচিব হাসান মেহেদীর সই করা বিবৃতিটি গণমাধ্যমের কাছে আসে।

এতে বলা হয়েছে, ‘বকেয়া মজুরির দাবিতে সমাবেশরত নিরীহ শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ একটি গর্হিত অপরাধ ও গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য লজ্জাকর। আমরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। বকেয়া মজুরির দাবিরত শ্রমিকদের উপর গুলি চালানোর ঘটনা আইনের শাসনের পরিপন্থি।

‘এমন নির্মম ও অবিবেচনাপ্রসূত হত্যাকাণ্ড ক্ষমতার অপপ্রয়োগ এবং চরম অনাচারের শামিল’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনে পুলিশ কোনো অবস্থাতেই নিরীহ শ্রমিকদের ওপর গুলি চালানোর অনুমতি পেতে পারে না জানিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকরা আরও বলেছেন, ‘পুলিশ প্রবিধান ১৯৪৩-এর বিধান অনুসারে নিরাপত্তার জন্য হুমকিমূলক সমাবেশ অন্য কোনোভাবে ছত্রভঙ্গ না করা গেলে সর্বশেষ পন্থা হিসেবে নূন্যতমভাবে শক্তি প্রয়োগের বিধান রয়েছে এবং সেক্ষেত্রে গুলি চালানোর আগে বার বার সাবধান করতে হবে এবং তা চালাতে হবে কাউকে হত্যা করা না, বরং সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্য থেকে।’

এ ক্ষেত্রে আইনের বিধান প্রতিপালন করা হয়নি জানিয়ে তারা দাবি করেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আইন অমান্য করার দায় সাধারণ নাগরিকদের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ও গুলিবর্ষণের ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার-বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি এবং দোষী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষে নিহত এক শ্রমিক। ছবি: নিউজকবাংলা

করোনাভাইরাস মহামারির এই দুর্যোগে শ্রমজীবী মানুষের মজুরি না দেয়া শ্রম আইন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন জানিয়ে তারা বলেছেন, ‘এস আলম গ্রুপের মতো ধনী শিল্পগোষ্ঠী কেন শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেনি তার যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’

সকল শ্রমিকের বকেয়া মজুরি দ্রুত পরিশোধের দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শ্রমিকদের মজুরি প্রদানে অবহেলা করার কারণে এস. আলম গ্রুপের সঙ্গে কয়লা-বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সরকারের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, তা বাতিলের দাবি জানাই।’

বাঁশখালি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ঘিরে এর আগে ২০১৬ ও ২০১৭ সালেও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং সেসব ঘটনায় কমপক্ষে মোট ছয় জন নিহত ও শতাধিক আহত হলেও হত্যাকাণ্ডের কোনো সুষ্ঠু বিচার হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে আছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন, অধ্যাপক আকমল হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশি কবীর, ব্র্যাকের নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ আরও অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর