রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমানের পর এবার আন্তর্জাতিক চার রুটে বিশেষ ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দিয়েছে বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস।
শনিবার সকাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ওমানের মাস্কাট, কাতারের দোহা ও সিঙ্গাপুরে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস সব নির্দেশনা মেনে সপ্তাহে ঢাকা থেকে দুবাইতে ৯টি, ঢাকা থেকে মাস্কাটে সাতটি, ঢাকা থেকে দোহায় চারটি ও ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই চার গন্তব্যের টিকিটধারীদের ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টা আগে করোনা নেগেটিভ সনদ সংগ্রহ করতে হবে।
এসব গন্তব্য থেকে যারা দেশে ফিরবেন তাদের প্রত্যেককেই সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা হোটেলে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
ইউএস-বাংলা জানায়, আন্তর্জাতিক প্রত্যেকটি রুটেই ১৬৪ আসনের বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হবে।
ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের কর্মস্থলে ফেরাতে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজারে শনিবার থেকে শতাধিক বিশেষ ফ্লাইট অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এগুলো হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর।
শনিবার থেকে এই ৫ দেশের আট গন্তব্যে ফ্লাইটের ঘোষণা দিয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমানও।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার প্রথমে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তবে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানা, গণপরিবহন চালু থাকায় তা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে খুব একটা কাজে আসেনি।
এর মধ্যে কঠোর বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন। প্রাথমিকভাবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা চলবে।
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। তবে চিকিৎসা, পণ্যবাহী ও বিশেষ ফ্লাইটকে নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। হঠাৎ ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অন্তত ২০ হাজার প্রবাসী কর্মীর কর্মস্থলে পৌঁছানো অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। বেশি দামে টিকিট কিনেও তারা কাজে যোগ দিতে পারছেন না।