বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগ্রহের নতুন মোড় মিউচ্যুয়াল ফান্ডে

  •    
  • ১৫ এপ্রিল, ২০২১ ১৮:২৭

তবে গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ফান্ডের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে আবার কমে যাওয়ার পর বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে পড়েন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে হারানো দামের কিছুটা ফিরে পাওয়া যাচ্ছে।

করোনাকালে বাইরে যেতে বিধিনিষেধ আরোপের পর পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি চাঙ্গা খাত মিউচ্যুয়াল ফান্ড। কিছুদিন আগেও এই খাতের প্রায় সবগুলো ইউনিটের দাম একদিন বাড়তে দেখা গেছে।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের নানা দুর্বলতা নিয়ে আলোচনায় বারবার উঠে আসে ফান্ডগুলো নিয়ে বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহের বিষয়টি। পাশের দেশ ভারতে ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের চেয়ে ফান্ডে বিনিয়োগকেই বেশি নিরাপদ মনে করেন। তবে বাংলাদেশে পরিস্থিতি উল্টো।

অভিহিত মূল্যের অর্ধেকের কমে ফান্ডের সংখ্যাও কম নয়, যদিও তাদের সম্পদমূল্য দ্বিগুণের চেয়ে বেশি। যে ফান্ড এই মুহূর্তে ভাঙলে ইউনিটপ্রতি ১১ টাকা বা আশেপাশে পাওয়া যাবে, সেটিও পুঁজিবাজারে দাম ৫ টাকার নিচে। এই অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা গত কয়েক মাস ধরেই এই খাত নিয়ে কাজ করার কথা বলছে।

তবে গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ফান্ডের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ার পর আবার কমে যাওয়ার পর বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে পড়েন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে হারানো দামের কিছুটা ফিরে পাওয়া যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার তালিকাভুক্ত ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র একটির দর কমেছে। বাকি ৩৬টিরই বেড়েছে।

একদিনে যতটা বাড়া সম্ভব ততটা বাড়ার পর ৭টি ফান্ডের ইউনিটধারীরা এই দরে বিক্রি করতে রাজি হননি।

পুঁজিবাজারের জন্য মিউচ্যুয়াল ফান্ড সবচেয়ে আকর্ষণীয় উল্লেখ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক রকিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যারা পুঁজিবাজারে নতুন তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো পরামর্শ হচ্ছে আপনারা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করুন। এতে বিনিয়োগ সুরক্ষা হবে।’

ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দর না বাড়ায় এখন মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো বিনিয়োগ উপযোগী। আর ফান্ডগুলো ভালো ব্যবসা করায় ভালো মুনাফাও দিচ্ছে। এতে আগ্রহ বাড়তে পারে।’

মিচ্যুয়াল ফান্ড ও তালিকাভুক্ত অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে লভ্যাংশ বিতরণের নীতিমালার পার্থক্য আছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো বছর শেষে যতই আয় করুক, তার কত অংশ বিনিয়োগকারীদের মুনাফা হিসেবে দিতে হবে, তার কোনো আইন নেই। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তবে বার্ষিক সাধারণ সভায় বিনিয়োগকারীদের মতামত দেয়ার সুযোগ থাকে। যদিও তাদের মতামতে লভ্যাংশ পাল্টেছে, এমন ঘটনা বিরল।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডের নীতিমালা অনুযায়ী যত আয় হবে তার ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে দিতে হবে। মাঝে লভ্যাংশ হিসেবে নগদ অর্থের পাশাপাশি রিইনভেস্টমেন্ট হিসেবে ইউনিট দেয়ার সুযোগ থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে আয়ের কমপক্ষে ৭০ শতাংশ নগদে বিনিয়োগকারীদের দিতে হবে।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত যেসব মিউচ্যুয়াল ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেগুলোর মুনাফাও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। তবে একটি ফান্ড ‍মুনাফার মাত্র ১৬ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে দেয়ার ঘোষণা করায় নীতিমালা ভঙ্গ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভ্যানগার্ড রূপালী ব্যাংক ব্যালান্সড ফান্ডকে এত কম পরিমাণ লভ্যাংশ দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে খোদ বিএসইসি। গত বছর ইউনিট প্রতি এক টাকার বেশি যে লোকসান হয়েছিল, এবার মুনাফা থেকে সেই অর্থের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।

ছয় মাসে ঈষর্ণীয় মুনাফা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সংখ্যা মোট ৩৭টি। এর মধ্যে সিংহভাগের অর্থবছর জুলাই থেকে জুন।

এগুলোর মধ্যে অন্তত ২৩টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের ছয় মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ আয় করেছে।

এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড গত ছয় মাস ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৯৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৯২ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৫ টাকা ৫০ পয়সা।

এশিয়ান টাইগার মিউচ্যুয়াল ফান্ড গত ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৭৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৬৪ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ৯০ পয়সা।

সিএপিএল বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৬০ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ৯০ পয়সায়।

সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৪০ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ২০ টাকা ১০ পয়সায়।

ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ৪৫ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৬ টাকা ২০ পয়সায়।

ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৪৫ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৫ টাকা ৪০ পয়সায়।

এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৬৫ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা।

ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৭০ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৫ টাকা।

গ্রামীণ ওয়ান স্কিম-২ মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৪ টাকা ২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ৩৮ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ১৬ টাকা ৭০ পয়সায়।

আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৬৪ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৬ টাকায়।

পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৬৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৩৮ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৫ টাকা ৩০ পয়সায়।

পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৫২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৪৭ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৪ টাকা ৯০ পয়সা।

প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৩৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ২১ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৬ টাকা ২০ পয়সায়।

রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ১৮ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ১১ টাকা ৬০ টাকায়।

সাউথইস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৪৫ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ১২ টাকা ৫০ পয়সায়।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৮২ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৮০ পয়সায়।

এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ডের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৫৮ পয়সা। আগের বছরে একই সময়ে লোকসান ছিল ৯০ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৯০ পয়সায়।

এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোফ ফান্ডে চলতি বছরের ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৩ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ১০ পয়সায়।

এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ডে বছরের প্রথম ছয় মাসে আয় হয়েছে ১ টাকা ৫৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৯০ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৯০ পয়সায়।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডে বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৮২ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৮০ পয়সায়।

ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৯১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৮৪ পয়সা।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ফান্ডটি এখন লেনদেন হচ্ছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা।

এ বিভাগের আরো খবর