প্রথমে বলা হলো চলাচলের বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংক খোলা থাকবে। পরে নির্দেশ এল অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সাত দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংকও।
এক দিনের মধ্যেই উল্টে গেল সিদ্ধান্ত। জানানো হলো, বন্ধ নয়, খোলা থাকবে ব্যাংক। আবার লেনদেনের যে সময়সীমা দেয়া হলো, সেটি ৫ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত চলা সময়সীমার চেয়ে বেশি।
আবার এই সময়সীমা নিয়েও দুই ধরনের চিঠি এল বাইরে। প্রথম চিঠিতে লেখা ছিল লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত। পরের চিঠিতে দেখা গেল এত সময় নয়, লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত।
কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংক নয়, দুই দিনে ঘোল খাইয়েছে সরকারও।
সোমবার জারি করা বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপনে বলা হলো বন্ধ থাকবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান। মহামারিকালে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংক একই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হওয়ার পর দিনই পাল্টে গেল সরকারি আদেশ।
মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে দেড় লাইনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি চিঠি যায়, যাতে বলা হয়, ‘১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির জন্য আদেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
চিঠিতে অনুরোধ করা হলেও বোঝাই যায় এটি নির্দেশের মতো আর ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকবে বন্ধের মধ্যে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, ব্যাংকে লেনদেন চালু থাকবে সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত।
কিন্তু কিছুক্ষণ পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈঠক শেষ হতে না হতেই গণমাধ্যমগুলো একটি চিঠির ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরি করে যে লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত।
এরও খানিক পরে আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার, যাতে বলা হয়, লেনদেন হবে ১০টা থেকে একটা পর্যন্ত।
আগের চিঠি তাহলে কী?
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, যে চিঠিটি ভাইরাল হয়েছে, সেটির নিচে কারও সই ছিল না। সেটি ছিল প্রস্তাব।
তিনি জানান, ওই চিঠিটি ছিল সুপারিশ মাত্র। সেটির ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে গভর্নরের কক্ষে দফায় দফায় বৈঠক চলে। পরে রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত সার্কুলার জারি করা হয়।
সার্কুলারে আরও বেশি কিছু বিষয় স্পষ্ট করা হয়। এতে জানানো হয়, ব্যাংকের সব শাখা চালু থাকবে না বিধিনিষেধের মধ্যে।
সিটি করপোরেশন এলাকায় দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি, উপজেলা সদরে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ব্যাংকের শাখা খুলবে।
ব্যাংকের প্রধান শাখা, জেলা শহরের প্রধান শাখা, বৈদেশিক মুদ্রার অনুমোদিত ডিলার শাখা আর বন্দরের শাখাগুলো কেবল খোলা থাকবে প্রতিদিন।
আর বন্ধ শাখায় টানিয়ে দিতে হবে কোন কোন শাখা খোলা তার তালিকা।