বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যাংক চালু রাখার পক্ষে সরকার

  •    
  • ১৩ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:১৮

ব্যাংক বন্ধের এই সিদ্ধান্তে চমকে গেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক সপ্তাহের জন্য ব্যাংক এভাবে আগে কখনও বন্ধ করা হয়নি। কিন্তু ব্যাংক সেবা একবারে বন্ধ করে দেয়ায় বড় সংখ্যক মানুষ সমস্যায় পড়বে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে জারি করা বিধিনিষেধে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিলেও এখন ব্যাংক চালু রাখতে চায় সরকার।

সোমবার সরকারের প্রজ্ঞাপনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেবল বন্দর এলাকার ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলো এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠার পর মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দেয়ার অনুরোধ জানায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম কল কেটে দিয়েছেন।

গত শুক্রবার যখন সরকার ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ দেয়ার ঘোষণা দেয়, তখন সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ব্যাংক খোলা রাখতে হবে।

সরকার এই এক সপ্তাহে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করলেও জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চালু থাকবে।

ব্যাংক খাতকে জরুরি সেবা হিসেবেই ধরা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সেদিন নিউজবাংলাকে বলেন, ব্যাংক খোলা রাখার বিকল্প নেই।

সেদিন তিনি বলেন ‘এ সংকটের মধ্যেও ব্যাংক খোলা রাখতে হবে। কারণ, মানুষ ব্যাংকিং লেনদেন না করতে পারলে অন্যান্য সংকটে পড়বে। চিকিৎসার জন্যও ব্যাংকের টাকা দরকার। সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে, কোন কৌশলে ব্যাংকিং সেবা দেয়া যায় সেটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

তবে সোমবার সরকার বিধি নিষেধ নিয়ে যে প্রজ্ঞাপন দেয়, তাতে জানানো হয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক সার্কুলারে জানায়, আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে কেবল বন্দর এলাকার ব্যাংকগুলো চালু থাকবে।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য বাইরে জনসমাগমে বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংক খোলা ছিল আড়াই ঘণ্টার জন্য। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলেছে লেনদেন।

এরপর কঠোর বিধি নিষেধের আগের দুই দিন সোমবার সকাল ১০টা থেকে দেড়টা আর মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত লেনদেন চলে।

ব্যাংক বন্ধের এই সিদ্ধান্তে চমকে গেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক সপ্তাহের জন্য ব্যাংক এভাবে আগে কখনও বন্ধ করা হয়নি। কিন্তু ব্যাংক সেবা একবারে বন্ধ করে দেয়ায় বড় সংখ্যাক মানুষ সমস্যায় পড়বে।

‘অন্যান্য বিষয় বাদ দিলাম, চিকিৎসা করতেও মানুষের টাকার প্রয়োজন হবে।’

ব্যাংক বন্ধ থাকায় এটিএম বুথে ভিড় বাড়বে বলে মনে করেন সাবেক এই গভর্নর। বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু নগদ টাকা তোলা ও জমা এ দুইটি সেবা চালু রাখার ব্যাপারে নির্দেশ দিতে পারত। কারণ, এটিএমবুথে টাকা তোলাতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কারণ, সেখানে বাটন স্পর্শে টাকা তুলতে হয়।’

‘সেক্ষেত্রে সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত শুধু নগদ লেনদেন চালু রাখা সম্ভব ছিল। আর ব্যাংক একটা পর্যন্ত খোলা রাখতে পারত’-বলেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আবার এটিএম বুথ কেবল শহরাঞ্চলে আছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই সুবিধা নেই। সেখানকার মানুষ নগদ টাকার প্রয়োজন কীভাবে মেটাবে, সে প্রশ্নও রাখেন তিনি।

ব্যাংক বন্ধ থাকায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে চাপ পড়বে। কিন্তু সেখানেও ভোগান্তি তৈরি হবে।

সালেহউদ্দিন বলেন, ‘মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনের ক্ষেত্রেও তো টাকা লাগবে। ব্যাংক বন্ধ থাকায় সেই টাকা এজেন্টরা কোথা থেকে তুলবে?’

ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হঠাৎ করে ব্যাংক বন্ধের সিদ্ধান্ত ব্যবসা ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে। সীমিত পরিসরে চালু রাখা উচিত ছিল। সাধারণ মানুষের টাকা দরকার হলে কীভাবে পাবে? সবার তো এটিএম কার্ড নেই। আর এটিএম বুথে যদি পর্যাপ্ত টাকা না থাকে তখন তো মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে। আবার সব ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং সেবাও নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর