সাত দিনের জন্য বন্ধ হওয়ার আগে মঙ্গলবার ব্যাংক আগের দিনের চেয়ে দুই ঘণ্টা বেশি খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ক্ষেত্রে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত। আর ব্যাংকের আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করতে চালু থাকবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
সোমবার লেনদেন চলেছে সকাল ১০টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত।
বুধবার থেকে ব্যাংকগুলো এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে মঙ্গলবার ব্যাপক ভিড় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ জন্যই লেনদেনের সময় খানিকটা বাড়িয়ে কিছুটা স্বস্তি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
সিদ্ধান্তটি মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দেয়া হবে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
বিকেলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ সব ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ সময় ব্যাংক শাখার পাশাপাশি আর্থিক সেবা দেয়া ব্যাংকের সকল উপ শাখা, বুথ ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং সেবাও বন্ধ থাকবে। তবে এটিএম, ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ অনলাইন সব সেবা সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, এই সময়ে সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকার ব্যাংক শাখা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের জন্য খোলা রাখা যাবে। পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন করা শাখা (এডি) নির্দিষ্ট দিনের জন্য খোলা রাখা যাবে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো ব্যাংক খোলা রাখার ব্যাপারে নির্দেশনা দেবে না।
দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ার পর জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে সরকার গত ৫ এপ্রিল সরকার এক সপ্তাহের জন্য বিধি নিষেধ দেয়। তখন ব্যাংকগুলো সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চালু থাকে।
এর মধ্যে শুক্রবার সরকার জানায়, ১৪ এপ্রিল থেকে আরও এক সপ্তাহের জন্য ‘কঠোর লকডাউন’ আসবে।
এই ‘কঠোর লকডাউনের আগের দুই দিন ব্যাংকে লেনদেনের সময় আধা ঘণ্টা বাড়িয়ে বেলা একটা পর্যন্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে আসা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবার বন্ধ থাকবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানও। পরে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ ব্যাংক বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করছেন না। তিনি মনে করেন, অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রেখে কেবল টাকা জমা ও তোলার কাজ চালানো উচিত ছিল।
সেটা না করায় জরুরি কাজের জন্য মানুষের নগদ অর্থের টান পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন এই সাবেক গভর্নর।