বুধবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য যে কঠোর লকডাউন আসছে, তাতে ব্যাংকের কেবল বন্দরকেন্দ্রিক শাখা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার থেকে লকডাউনে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে সোমবার দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের পর সন্ধ্যায় এই সিদ্ধান্ত জানায় ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ সাইট সুপারভিশন বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানোও হয়েছে।
এই সময়ে খোলা থাকবে বন্দরকেন্দ্রিক ব্যাংকের শাখা। শিল্প উৎপাদন চালু থাকায়, আমদানি-রপ্তানির স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘লকডাউনে করণীয় ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তবে, তাতে ব্যাংক খুলে রাখার বিষয়ে কোনো কিছু দেয়া হয়নি।’
গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এক সপ্তাহের লকডাউনে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লেনদেন চলে। এই লকডাউন শেষ হওয়ার আগেই সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, ১৪ এপ্রিল থেকে আরও কড়াকড়ি থাকবে। এবার জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে না।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংক হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় সেবা। এ সেবা দিতে আমরা বাধ্য এবং এটা চলমান রাখতে হবে।… ‘এ সংকটের মধ্যেও ব্যাংক খোলা রাখতে হবে। কারণ, মানুষ ব্যাংকিং লেনদেন না করতে পারলে অন্যান্য সংকটে পড়বে। চিকিৎসার জন্যও ব্যাংকের টাকা দরকার। সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে, কোন কৌশলে ব্যাংকিং সেবা দেয়া যায় সেটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এর মধ্যে সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রজ্ঞাপন আসে, তাতে স্পষ্টতই উল্লেখ ছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে।
তবে এর আগে কখনও ব্যাংক বন্ধ থাকেনি আর বিকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এই বিষয়টি নিয়ে চলে দীর্ঘ বৈঠক। আর এর পর এই প্রজ্ঞাপন আসে।