বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাজেটে প্রাধান্য পাবে জীবন-জীবিকার সব খাত: অর্থমন্ত্রী

  •    
  • ১২ এপ্রিল, ২০২১ ০০:৩০

আগামী বাজেট সাধারণ বাজেট হওয়ার সম্ভাবনা কম, বরং এটি ‘ব্যতিক্রমী সময়ের’ বাজেট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ করোনা মহামারীর প্রেক্ষাপটে মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে যুক্ত খাতগুলো এবারের বাজেটে অগ্রাধিকার পাবে।

আসছে বাজেট স্বাভাবিক সময়ের নয়, মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় সরকারের যা করণীয় আগামী বাজেটে তাই করা হবে।’

রোববার অর্থমন্ত্রী দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে জুম প্ল্যাটফর্মে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট সভা শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদেরে এ তথ্য দেন।

অর্থমন্ত্রী জানান, আগামী বাজেট সাধারণ বাজেট হওয়ার সম্ভাবনা কম, বরং এটি ‘ব্যতিক্রমী সময়ের’ বাজেট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ করোনা মহামারীর প্রেক্ষাপটে মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে যুক্ত খাতগুলো এবারের বাজেটে অগ্রাধিকার পাবে। এ জন্য পল্লী অবকাঠামো, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি ব্যয় করতে হবে। স্বাস্থ্য খাতের সম্পদগুলোর সদ্ব্যবহার করতে হবে এবং এর সক্ষমতাকে পরিপূর্ণ কাজে লাগাতে হবে।

আলোচনায় যোগ দেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর রেহমান সোবহান, ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, এম মতিউল ইসলাম, ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ, ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ড. আতিউর রহমান, ড. মোহাম্মদ তারেক, ড. মাহবুব আহমেদ, ড. জায়েদী সাত্তার, ড. আহসান এইচ মনসুর, ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ড. জামালউদ্দিন আহমেদ, ড. নাজনীন আহমেদ ও প্রফেসর আতিকুল ইসলামসহ অনেকে।

ব্রিফিংয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘গোটা বিশ্ব এখন করোনা মহামারীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর বিচ্ছিন্ন নয়। আমাদেরকেও এই মহামারি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তাই আসছে জাতীয় বাজেটও সেই দিক বিবেচনা করেই প্রণয়ন করা হবে।’

খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদরা বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারকে বাজেটে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানান, তাদের নতুন চিন্তাভাবনা ও পরামর্শগুলো প্রায়ই বাজেট গঠনে সরকারকে সহায়তা করে। তাই নেতৃস্থানীয় অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ ও প্রস্তাবগুলো আগামী বাজেটে বিবেচনা করা হবে।

এই মহামারি পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী লকডাউন চলাকালে স্বল্প আয়ের গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের সহায়তা করার জন্য সরকারের সম্ভাব্য পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বিষয়টি দেখছেন এবং তিনি যা যা প্রয়োজন তা করবেন।

দেশের কম ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের এখনও কম। কারণ সরকার অনেক ছাড় দিচ্ছে। আমরা অনেক অঞ্চল থেকে কর সংগ্রহ করি না।

‘আমরা মেগা প্রকল্পের মতো অনেক সরকারি প্রকল্পের ওপর কর আরোপ করি না। বিষয়টি গত বছর আলোচিত হয়েছিল এবং এ বছরও আলোচনা হবে। তবে কর-জিডিপি অনুপাত যে পরিমাণে বাড়ানোর কথা ছিল, এই সময়ে সে হারে বাড়ানো হবে না।

তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে আরও ব্যাপক হারে কর আরোপ করা হলে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ পড়ার ফলে প্রকল্প ব্যয় বাড়তে পারে। তবে এটা ঠিক, সরকার সব খাত এবং উত্স থেকে কর আহরণ করতে পারলে কর অনুপাতটি আরও বেশি হতে পারত ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে অংশ নেওয়া অর্থনীতিবিদরা প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর সময়সীমা আরও সম্প্রসারণ ও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি সম্প্রসারণমূলক আর্থিক নীতি অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে, যাতে জনগণের জীবনযাত্রা ও জীবিকা নির্বিঘ্ন থাকে। এ ছাড়া অপ্রকাশিত অর্থ সাদা করা, সংস্থাগুলোর সম্ভাব্য করপোরেট ট্যাক্স ও দেশীয় শিল্পকে আরো জোরদারে করণীয় পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন।

এ বিভাগের আরো খবর