লকডাউনের মধ্যেও ওয়ালটন গ্রুপ যাতে তাদের সকল কারখানা চালু রেখে উৎপাদন, পরিবহন এবং সরবরাহ চেইন অব্যাহত রাখতে পারে, সে জন্য সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর-সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নুসরাত আইরিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
‘করোনা প্রাদুর্ভাবজনিত প্রেক্ষাপটে নিত্যব্যবহার্য পণ্যের উৎপাদন, পরিবহন ও সরবরাহ চেইন অব্যাহত রাখতে সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ’ শীর্ষক চিঠিতে বলা হয়েছে: ওয়ালটন গ্রুপ বাংলাদেশে নিত্যব্যবহার্য ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক এবং ডিজিটাল ডিভাইসের অন্যতম প্রস্তুতকারক এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। করোনা প্রাদুর্ভাবজনিত প্রেক্ষাপটে জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রকার ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও ডিজিটাল ডিভাইস/পণ্য (যেমন, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, মোবাইল, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স, ডিজিটাল ডিভাইসসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য) যেমন জরুরি, তেমনিভাবে উক্ত পণ্যসমূহের নিরবচ্ছিন্ন কাস্টমার সার্ভিস নিশ্চিত করাও অপরিহার্য।
জনসাধারণের দৈনন্দিন জীবনমান স্বাভাবিক রাখার নিমিত্তে ওয়ালটন ও মার্সেল ব্র্যান্ডের নিত্যব্যবহার্য পণসমূহ সরবরাহ, বিক্রয় ও সার্ভিস কার্যক্রম সচল রাখা প্রয়োজন।
ওয়ালটন গ্রুপের নিত্যব্যবহার্য পণ্যসমূহের সরবরাহ, বিক্রয় ও জরুরি কাস্টমার সার্ভিস চলমান রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থাকে যথাযথ নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, ইন্সপেকটর জেনারেল অব পুলিশ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সরকারের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও দপ্তর প্রধানদের কাছে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।
অন্য কোনো শিল্প গ্রুপের জন্য কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগ থেকে এ ধরনের কোনো ‘বিশেষ’ সুবিধা দেওয়া হয়নি।