সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সব ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। রোববার সন্ধ্যায় সংস্থার ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড ও রেগুলেশন বিভাগের সদস্য চৌধুরী এম জিয়া উল কবিরের সই করা দুটি পৃথক সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সংক্রান্ত সার্কুলারে বলা হয়েছে, ১৪ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ২০ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে।
তবে চিকিৎসা, মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ, কার্গো, রিফুয়েলিং এবং বিশেষ ফ্লাইট এই নিষেধাজ্ঞার বাহিরে থাকবে।
এদিকে বেবিচকের আরেক সার্কুলারে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে ফ্লাইট চলাচল নিষেধাজ্ঞা ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ২০ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে সব ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে।
অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে হেলিকপ্টার ও চার্টার্ড ফ্লাইট চলাচলের ক্ষেত্রেও এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে সার্কুলারে। তবে কার্গো, চিকিৎসা, মানবিক ও ত্রাণ বিতরণ এবং করপোরেট ফ্লাইট এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
গত ৪ এপ্রিল লকডাউন নিয়ে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর পরের দিন থেকে শুরু হয় সাত দিনের লকডাউন। রোববার এই লকডাউন আরো দুদিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে সরকার।
৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে আন্তঃজেলা বাস, ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় অভ্যন্তরীণ রুটের সব ফ্লাইট। তবে চালু ছিল কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।
গত বছর মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে বন্ধ করে দেয়া হয় সব ধরনের ফ্লাইট। পরে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে জুলাই থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু করা হয়। এরপর ক্রমান্বয়ে চালু হয় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো।
দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে গত ৩ এপ্রিল থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের সব দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় বেবিচক। এটি ছাড়াও বিশ্বের আরও ১২টি দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ইউরোপের দেশগুলো ছাড়া বাংলাদেশে ফ্লাইট বন্ধ আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, ব্রাজিল, চিলি, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, পেরু, কাতার, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক ও উরুগুয়ের।