বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লকডাউনে পোশাক কারখানা খোলা চান মালিকরা

  •    
  • ১১ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:১২

বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বলেন, লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের গ্রামমুখী ঢল নামবে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়বে। তাছাড়া উৎপাদন বন্ধ থাকলে বিপাকে পড়বে মালিকরা। এতে আগামী দুই ঈদে শ্রমিকদের বেতন বোনাস নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।

রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতসহ এর সহযোগী শিল্পগুলো লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে এ খাতের চারটি সংগঠন।

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। সংগঠনগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) , বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমইএ) ও এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ইএবি)।।

বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুস সালাম সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।

সংগঠনটির নব নির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও একে আজাদ, বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান, সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিটিএমএ'র সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, ইএবি সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বলেন, লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের গ্রামমুখী ঢল নামবে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়বে। তাছাড়া উৎপাদন বন্ধ থাকলে বিপাকে পড়বে মালিকরা। এতে আগামী দুই ঈদে শ্রমিকদের বেতন বোনাস নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।

এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, শ্রমিকরা কারখানায় কর্মরত আছে বলেই তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু লকডাইনের নামে কারখানা বন্ধ থাকলে তাদের বিধিনিষেধ মানানো সম্ভব হবেনা। কারখানায় সুরক্ষা দেয়ায় শ্রমিকদের মাঝে করোনা আক্রান্তের হার কম। গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ খাতে ৫ হাজার জনের করোনা টেস্ট হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৭০৯ জন। এখাতে করোনা আক্রান্তের হার দশমিক শূণ্য তিন শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, করোনামহামারীর প্রথম আঘাতের ফলে সৃষ্ট সঙ্কট থেকে শিল্প যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ঠিক তখনই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের অশনিসংকেত দৃশ্যমান হতে শুরু করে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এবং এর প্রভাব সংক্রান্ত একটি হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করে তাতে বলা হয়, ২০১৯- ২০ অর্থবছরে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার মূল্যের রপ্তানি হারিয়েছে। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের তুলনায় রপ্তানি হারিয়েছে ৯.৫ শতাংশ।

২০২০ সালের এপ্রিলের শেষ নাগাদ ১১৫০টি সদস্য প্রতিষ্ঠান ৩.১৮ বিলিয়ন ডলারের কার্যাদেশ বাতিল ও স্থগিতের শিকার হয়েছিল। পরে ৯০ শতাংশ বাতিল প্রত্যাহার হলেও মূল্য ছাড় ও ডেফার্ড পেমেন্ট মেনে নিতে হয়েছে।

করোনা মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে গৃহীত পদক্ষেপের কারণে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকেই পোশাকের খুচরা বিক্রয়ে ঋণাত্মক ধারা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে ইউরোপে খুচরা বিক্রি কমেছে ২৮ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্র কমেছে ১৬ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে থেকেই পোশাকের দরপতন শুরু হতে থাকে, যা করোনার পর তীব্র আকার ধারণ করে। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে পোশাকের ৪.৫ থেকে ৫ শতাংশ হারে দরপতন অব্যাহত আছে।তৈরি পোশাক শিল্পের আন্তর্জাতিক অনেক ক্রেতা ও ব্র্যান্ড ক্রয়াদেশের বিপরীতে মূল্য পরিশোধ করেনি। অনেকে আবার দেউলিয়া হয়ে গেছে। ফলে অনেক কারখানা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে , অনেকে তাদের জাহাজীকৃত পণ্য অথবা স্টকের মূল্য পায়নি। কিন্তু বাধ্য হয়ে কাঁচামাল বাবদ খোলা এলসির দায় মেটাতে ফোর্সড লোনের শিকার হয়েছে ।

এ সংকটের মধ্যেও শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে যেতে হয়েছে এবং অন্য খরচ মেটাতে হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় প্রণোদনা বাবদ যে ঋণ নেয়া হয়েছিল তা পরিশোধের সময়ও ঘনিয়ে এসেছে।

এ অবস্থায় পোশাক কারখানাগুলোর উৎপাদন অব্যাহত রাখা মালিক শ্রমিকের সুরক্ষায় খুবই জরুরি বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর