বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রথম ঘণ্টার লেনদেন, দরপতনের সর্বোচ্চ সীমায় ৬৬ কোম্পানি

  •    
  • ১১ এপ্রিল, ২০২১ ১১:৪৭

বুধবার ঘোষণা দিয়ে ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়ার পর বৃহস্পতিবার দর কমেছিল প্রায় সব কটি কোম্পানির। এসব কোম্পানির ক্ষেত্রে বর্তমানে সার্কিট ব্রেকার সুবিধা দেয়া হলেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং রোববার সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে শুরু হয়েছে লেনদেন। শুরুর পাঁচ মিনিটে সূচকের পতন হয় ৩৬ পয়েন্ট। আর লেনদেনের ১৫ মিনিটে পতন হয় ৭০ পয়েন্টের বেশি।

সূচক পতনে এবারও ভূমিকা রাখছে ফ্লোর পাইস উঠিয়ে দেয়া কোম্পানিগুলো। লেনদেনের এই সময়ে পর্যন্ত দিনের সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে সিংহভাগ কোম্পানির।

করোনা মহামরিতে চলমান সাত দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রোববার। কিন্তু এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে, যা কার্যকর হবে বুধবার থেকে।

এমন অবস্থায় পুঁজিবাজারের লেনদেন কীভাবে চলবে, সেটি জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বলা হয়েছে, ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এবারও পুঁজিবাজারের লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

যদিও বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া লকডাউনকে সরকারের পক্ষ থেকে আগেরবারের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের অর্থনীতির স্বার্থে ব্যাংক খোলা রাখার কথা জানিয়েছে শনিবার।

চলমান লকডাউনের মধ্যে গত সোমবার থেকে দুই ঘণ্টা করে লেনদেন হচ্ছে পুঁজিবাজারে। লকডাউনের মধ্যে ৭ এপ্রিল বুধবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তালিকাভুক্ত ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারের সর্বনিম্ন দর উঠিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়। তার পরের দিন বৃহস্পতিবার এই কোম্পানিগুলোর দরপতনের ধাক্কায় সূচকের পতন হয় ৮২ পয়েন্ট।

এমন অবস্থায় শনিবার বিএসইসি আবারও ঘোষণা করে ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া হলেও সার্কিট ব্রেকারে সুযোগ পাবে এই কোম্পানিগুলো। দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দর বাড়ার সুযোগ বহাল রেখে দর কমার ক্ষেত্রে করা হয় ২ শতাংশ।

দরপতনে ৬৬ কোম্পানি

বুধবার ঘোষণা দিয়ে ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়ার পর বৃহস্পতিবার দর কমেছিল প্রায় সব কটি কোম্পানির। এসব কোম্পানির ক্ষেত্রে বর্তমানে সার্কিট ব্রেকার সুবিধা দেয়া হলেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং রোববার সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।

যদিও দর কমার ক্ষেত্রে অন্যান্য কোম্পানির ১০ শতাংশ পর্যন্ত সীমা থাকলেও ৬৬ কোম্পানির ক্ষেত্রে দেয়া হয়েছে ২ শতাংশ।

রোববার লেনদেনের এক ঘণ্টায় প্রায় সব কটি কোম্পানির শেয়ারদর দিনের সর্বোচ্চ পতন হতে দেখা গেছে। এর মধ্যে কাট্টলি টেক্সটাইল, মিথুন নিটিং, প্যাসিফিক ডেনিম, ইন্টাকো, সায়হাম কটন, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, ফার্স্ট ফিন্যান্স, সায়হাম টেক্সটাইল, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, অলেম্পিক এক্সেসরিজ, রিং সাইন, জাহিন স্পিনিংসহ প্রায় সব কটি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ২ শতাংশের কাছাকাছি।

বিনিয়োগকারীর বক্তব্য

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের সভাপতি আনম আতাউল্লাহ নাঈম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়েছিল গত বছর করোনা মহামারিতে যেন পুঁজিবাজারের ক্ষতি না হয়। আবার সেটিকে পরিবর্তন করে দেয়া হলো করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে। লকডাউনের মধ্যে পুঁজিবাজার ভালো চলছিল। কিন্তু হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের সিদ্ধান্তহীনতায় ফেলে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ফ্লোর প্রাইসে যখন লেনদেন হচ্ছিল তখন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কোনো আতঙ্ক ছিল না। ধারণা ছিল, এর নিচে নামবে না, ফলে লোকসান হবে না। কিন্তু যখন ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া হলো, তখনই আতঙ্ক শুরু হলো। আর লোকসান হতে থাকল।

তাই এ সময়ে ফ্লোর প্রাইসে ফিরে যাওয়াই ভালো বলে মন্তব্য করেন আতাউল্লাহ।

সূচক ও লেনদেন

এ সময়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৬ দশমিক ৭০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ২৪ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭২ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৪৬ দশমিক ৫২ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৭টির, কমেছে ২৪২টির। দর পাল্টায়নি ৪১টির। এ সময়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪০ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক ডিএএসপিআই ১৮৯ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪১ পয়েন্টে। এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৮৮টির। দর পাল্টায়নি ১১টির। লেনদেন হয়েছে মোট ৫ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর