বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভুল নম্বরে বিকাশ, উদ্ধার করে দিল পুলিশ

  •    
  • ১০ এপ্রিল, ২০২১ ২১:৩৩

গত ২ এপ্রিল রাত ৯টায় তার পার্সোনাল বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা এবং খরচ ৪০০ টাকা একটি নম্বরে পাঠাতে গিয়ে ডিজিটের ভুলে অন্য একটি নম্বরে পাঠিয়ে দেন মুদি দোকানি হারুন। সেই ব্যক্তি টাকা ফেরত দিতে রাজি না হলে জিডি করেন তিনি। পরে দিনাজপুর থেকে সে টাকা উদ্ধার করে হারুনের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।

ভুল করে একজনের বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে বিপাকে পড়া মুদি দোকানির ত্রাণকর্তা হলো পুলিশ। সেই টাকা ফিরিয়ে এনে তার হাতে তুলে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ায়।

জেলার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ সুধিরাজপুর এলাকার মুদি দোকানি হারুন অর রশিদ বিকাশে টাকা পাঠানোর কাজও করেন।

গত ২ এপ্রিল রাত ৯টায় তার পার্সোনাল বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা এবং খরচ ৪০০ টাকা একটি নম্বরে পাঠাতে গিয়ে ডিজিটের ভুলে অন্য একটি নম্বরে পাঠিয়ে দেন।

টাকাটি যায় দিনাজপুরের একজনের কাছে। যার হিসাবে টাকা গেছে, তাকে অনুরোধ করে টাকাটি ফিরিয়ে দিতে বলেন হারুন। কিন্তু টাকা দিতে রাজি হননি তিনি। এরপর ৫ এপ্রিল মিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন হারুন।

এরপর কাজ শুরু করে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ।

গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মামুনুর রশিদ জানান, দিনাজপুর জেলার সদর থানার সহায়তায় সেখানকার পারগাঁও গ্রামের সেই ব্যক্তির কাছ থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টাকা উদ্ধার করা হয়।

শনিবার দুপুরের দিকে হারুন অর রশিদকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে এনে তার হাতে সেই টাকা তুলে দেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন খাঁন ও গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

টাকা হাতে পেয়ে যারপরনাই খুশি ব্যবসায়ী হারুন। তিনি পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, টাকাটা ফেরত না পেলে ব্যবসার পুঁজিই শেষ হয়ে যেত।

যেভাবে উদ্ধার হলো টাকা

ভুল করে কারো নম্বরে টাকা চলে গেলে তিনি নিজে থেকে না দিলে টাকা উদ্ধারের সুযোগ নেই। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিকাশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সব তথ্য প্রমাণ দেয়ার পর সেই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টটি স্থগিত করে রাখা হয়। এর ফলে তিনি আর টাকা তুলতে পারেননি।

পরে সেই ব্যক্তিকে দিনাজপুরের পুলিশ চাপ দিলে তিনি টাকা ফেরত দিতে রাজি হন।

কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আশরাফুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মিরপুর থানায় জিডি হওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশ ছায়া তদন্তের দায়িত্ব নেয়। তদন্তে উদঘাটন করা সম্ভব হয় দিনাজপুরের আশিক নামের ওই অ্যাকাউন্টের মালিককে।’

তিনি বলেন, ‘আশিক যখন টাকা ফেরত দিতে রাজি না হয়, তখন বিকাশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তার অ্যাকাউন্টটি স্থগিত করে রাখা হয়। পরে ইমেইল করে জিডির কপি পাঠানো হয় দিনাজপুর সদর থানায়। একই সঙ্গে বিকাশ ট্রানজেকশন এর প্রমাণও দেখানো হয়।’

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সব প্রমাণ দেখানোর পর স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত আশিক কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে পুরো টাকাটা ফেরত পাঠাতে বাধ্য হন।’

এ বিভাগের আরো খবর