বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় প্রান্তিক পরিবারের ৭৮.৮ শতাংশ আর্থিক সমস্যায়

  •    
  • ৮ এপ্রিল, ২০২১ ২০:২০

জীবন ও জীবিকার তাগিদে প্রায় ৬০.৮ শতাংশ প্রান্তিক পরিবার বিকল্প পন্থা হিসেবে ঋণ নিয়েছে। যা পরিশোধে তাদের গড় পড়তা প্রায় দুই বছর সময় লাগতে পারে। টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি-এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ এর উদ্যোগে পরিচালিত এক সমীক্ষায় এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

করোনায় গত এক বছরে দেশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আয় কমেছে ১৫.৮ শতাংশ। একই সঙ্গে ব্যয় কমেছে ৮.১ শতাংশ। অতিমারির কারণে এই সময়ে পরিবারগুলোর প্রায় ৭৮.৮ শতাংশ আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়। যার ৭৮.৫ শতাংশই এখনও পুনরুদ্ধার করা যায়নি।

এছাড়া জীবন ও জীবিকার তাগিদে প্রায় ৬০.৮ শতাংশ পরিবার বিকল্প পন্থা হিসেবে ঋণ নিয়েছে। যা পরিশোধে তাদের গড় পড়তা প্রায় দুই বছর সময় লাগতে পারে। টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি-এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের উদ্যোগে পরিচালিত এক সমীক্ষায় এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর করোনার অতিমারির অভিঘাত এবং তা কীভাবে তারা মোকাবিলা করছেন তা জানতে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এক সমীক্ষা চালায়। এতে সময়কাল ধরা হয় ২০২০ সালের মার্চ থেকে এবছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার সমীক্ষার এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এ উপলক্ষে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম অনলাইনে একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।

অনলাইন ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম-এর আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)-র সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সম্মাননীয় ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপ সদস্য অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এবং সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। সমীক্ষার বিষয়ে মূল প্রতিবেদন তুলে ধরেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের জ্যেষ্ঠ গবেষক ইশতিয়াক বারি। এই সমীক্ষা কার্যক্রমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে-জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি- ইউএনডিপি, বাংলাদেশ; অ্যাকশন-এইড বাংলাদেশ; কানাডা ফান্ড ফর লোকাল ইনিশিয়েটিভস; সেন্টার ফর পলিসিডায়লগ (সিপিডি); ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশ; ইকো কো-অপারেশন; প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং ওয়াটার এইড বাংলাদেশ।ব্রিফিংয়ে বলা হয়, করোনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর স্বাস্থ্য এবং সামাজিক সম্পর্কিত প্রভাবগুলোর তুলনায় অর্থনৈতিক প্রভাব অনেক গভীরভাবে পড়েছে। তাদের আয় ব্যাপকহারে কমেছে। যার থেকে তারা এখনও সেরে ওঠতে পারেনি। উল্টো বিপুল সংখ্যক পরিবার ঋণের জালে জড়িয়ে সঞ্চয় হারাচ্ছে। প্রান্তিক এসব মানুষকে উদ্ধারে বাজেট সহায়তার পাশাপাশি মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা দরকার বলেও জানায় নাগরিক প্ল্যাটফর্ম।সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘করোনার বহুমাত্রিক আঘাত এসেছে কর্মসংস্থান, আয়, সঞ্চয় ছাড়াও পুষ্টিহীনতা, সহিংসতা এবং শিক্ষাখাতে ঝরে পরার ওপর। এই অতিমারির ফলে প্রথাগতভাবে যারা আগে বিপন্ন ছিলেন না তারাও এখন এর নেতিবাচক প্রভাবে যুক্ত হয়েছেন।

‘প্রান্তিক এসব জনগোষ্ঠীকে বিপর্য় থেকে টেনে তুলতে স্থানীয় সরকার, জনপ্রতিনিধি ও উন্নয়ন সংস্থাদের একত্রিত করে একটি মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। আসন্ন জাতীয় বাজেটে, সুস্পষ্ট আর্থিক বরাদ্দ থাকতে হবে। সেটি সামাজিক সুরক্ষা জাল কর্মসূচির অধীনে এবং এর বাইরে দুইভাবেই হওয়া উচিত। একটি নতুন সামাজিক সংহতি তহবিলও তৈরি করা যেতে পারে।’

মূল প্রতিবেদনে ইশতিয়াক বারি বলেন, ‘বাংলাদেশ জুড়ে প্রায় ১৬০০ খানায় এই সমীক্ষা চালানো হয়। এতে দশটি প্রান্তিক গোষ্ঠীর মুখোমুখি সাক্ষাত্কারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী, প্রতিবন্ধী, বস্তিবাসী ও চরের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের বাড়তি ব্যয় ও ঋণ পরিশোধে সহয়তা দরকার।’

এ বিভাগের আরো খবর