বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সবচেয়ে সাইলেন্ট কম্প্রেসর উৎপাদন শুরু ওয়ালটনের

  •    
  • ৮ এপ্রিল, ২০২১ ০৯:১৮

বিশ্বের সবচেয়ে ‘সাইলেন্ট ও ডিউর‌্যাবল’ রেফ্রিজারেটর কম্প্রেসরের এ দুইটি মডেলই দ্বিতীয় প্রজন্মের, যা ওয়ালটনের কম্প্রেসর গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএন্ডডি) বিভাগের একটি নতুন উদ্ভাবন।

নতুন আরও দুই মডেলের কম্প্রেসর উৎপাদন শুরু করেছে বাংলাদেশি ইলেকট্রনিকস পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।

বিশ্বের সবচেয়ে ‘সাইলেন্ট ও ডিউর‌্যাবল’ রেফ্রিজারেটর কম্প্রেসরের এ দুইটি মডেলই দ্বিতীয় প্রজন্মের, যা ওয়ালটনের কম্প্রেসর গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) বিভাগের একটি নতুন উদ্ভাবন।

এ ধরনের কম্প্রেসর উৎপাদন দেশীয় শিল্প তথা বাংলাদেশের গবেষণার জন্য বিরাট গৌরবের বলে দাবি করেছেন ওয়ালটনের প্রকৌশলীরা।

গাজীপুরের চন্দ্রায় সোমবার ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি দ্বিতীয় প্রজন্মের ওই দুই মডেলের কম্প্রেসর উদ্বোধন হয়।

মডেল দুটির নাম এইচভিওয়াই৯৪এএ ও এইচভিওয়াইএক্স৯এএ।

বাংলাদেশ হলো এশিয়ার অষ্টম ও বিশ্বের ১৫তম কম্প্রেসর উৎপাদনকারী দেশ। আর দেশের একমাত্র কম্প্রেসর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানও ওয়ালটন, যার বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ৪ মিলিয়ন।

ওয়ালটনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে কম্প্রেসর উৎপাদন সক্ষমতা ১ কোটিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, শুরু থেকেই জার্মানভিত্তিক বিশ্বের একটি খ্যাতনামা কম্প্রেসর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ যন্ত্রাংশ নিচ্ছে।

এ বিষয়ে ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘কম্প্রেসর আরঅ্যান্ডডি (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট) টিমের উদ্ভাবিত দ্বিতীয় প্রজন্মের বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তির কম্প্রেসর তৈরি ওয়ালটনের জন্য এক বিরাট সাফল্য। নিঃসন্দেহে এই সফলতা শুধু ওয়ালটনেরই নয়; দেশীয় ভারী প্রযুক্তি শিল্প ও বাংলাদেশের জন্যও এক বিশাল মাইলফলক।’

তিনি বলেন, ‘কম্প্রেসর উৎপাদন শিল্প বাংলাদেশের আরেকটি সম্ভাবনাময় খাত; রয়েছে বিশাল আন্তর্জাতিক বাজার। ওয়ালটনের টার্গেট বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ কম্প্রেসর রপ্তানিকারক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা।’

কম্প্রেসর বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রবিউল আলম বলেন, ‘নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে ওয়ালটনের তৈরি কম্প্রেসর ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানির পরিমাণও বেশ ভালো।

‘নতুন এই দুইটি মডেলের উদ্ভাবন ও উৎপাদন শুরু হওয়ায় রপ্তানির পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’

কম্প্রেসর আরঅ্যান্ডডি বিভাগের প্রধান মীর মুজাহেদীন ইসলাম বলেন, বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তির ‘সাইলেন্ট ও ডিউর‌্যাবল’ কম্প্রেসর ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ তৈরি করছে ওয়ালটন। উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে মান নিয়ন্ত্রণে অনুসরণ করা হচ্ছে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি। কারখানায় রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগার, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ল্যাব সরঞ্জাম ও মেশিনারিজ।

ওয়ালটন কারখানায় তৈরি হচ্ছে মাদারবোর্ড। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত সর্বাধুনিক হেমি অ্যান-ইকোয়িক অ্যাকুইস্টিক চেম্বারের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হচ্ছে কম্প্রেসরের সর্বনিম্ন নয়েজ লেভেল।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আলমগীর আলম সরকার, রেফ্রিজারেটর বিভাগের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ইউসুফ আলী, কম্প্রেসর বিভাগের সিইও রবিউল আলম, আরঅ্যান্ডডি বিভাগের চিফ কো-অর্ডিনেটর তাপস কুমার মজুমদার, কম্প্রেসর আরঅ্যান্ডডি বিভাগের প্রধান মীর মুজাহেদীন ইসলাম, কম্প্রেসর সিওও নাসির উদ্দিন মন্ডল, মেকানিক্যাল মেনটেইন্যান্স বিভাগের প্রধান নিজাম উদ্দিন মজুমদার, ইলেকট্রিক্যাল মেনটেইন্যান্স বিভাগের প্রধান কামরুল হাসান, প্রসেস ডেভলপমেন্ট বিভাগের প্রধান কৃষ্ণানন্দ বৈরাগী, কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের প্রধান তাহসিন হক, ওয়ালটন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিমসহ অনেকেই।

এ বিভাগের আরো খবর