ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে কেউ ঋণ খেলাপী আছেন কি-না তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিঠিতে জানিয়েছে, এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন আগামী ৫ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কোনো ঋণ খেলাপী এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। এফবিসিসিআই সংঘবিধির ১৫সি ধারা মোতাবেক ঋণ খেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে কোনো ঋণ খেলাপি যাতে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না পায় সেজন্য ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই হওয়া দরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাই প্রার্থীদের সিআইবি ক্লিয়ারেন্স সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্য যাচাই করার অনুরোধ করছে।
এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের ২০২১-২৩ মেয়াদের নির্বাচনে ৮০ পরিচালক পদে ৮৩ জন প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে মনোনীত পরিচালক পদে চেম্বার গ্রুপে ১৭টি ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে ১৭টি পদে বিপরীতে ১৬ জন করে মোট ৩২ জন প্রার্থী হয়েছেন। দুটি মনোনীত পরিচালক পদে প্রার্থী দেয়নি গোপালগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)। অন্যদিকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার জন্য চেম্বার গ্রুপের ২৩ পদের বিপরীতে ২৫ জন ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ২৩ পদের বিপরীতে ২৬ জন প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনে গত ৩১ মার্চ মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ছিল।