বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পর এবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দিয়েছে।
আইএমএফ বলেছে, এ বছর বাংলাদশের জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ৫ শতাংশ। বৈশ্বিক অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে যাচ্ছে। এর ইতিবাচক প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে মনে করে সংস্থাটি। সংস্থার সর্বশেষ আউটলুক প্রতিবেদনে এ পূর্ভাবাস দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফ সদর দপ্তরে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে আইএমএফ যে আভাস দিয়েছে তা বিশ্বব্যাংক অপেক্ষা ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। গত ৩১ মার্চ প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের সাউথ এশিয়া ইকনোমিক ফোকাস প্রতিবেদনে প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। অবশ্য, আইএমএফ প্রাক্কলণ করেছে চলতি পঞ্জিকাবছর ভিত্তিতে। আর বিশ্বব্যাংক করেছে চলতি অর্থবছরের ভিত্তিতে।
তবে ওয়াশিংটন ভিত্তিক ঋণদাকারী দুটি সংস্থাই বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে বেশি হবে বলে হিসাব দিয়েছে।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে আইএমএফের পূর্ভাবাসে বলা হয়েছিল এ বছর বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
অপরদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাংক এর প্রাক্কলণ ছিল ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
অবশ্য বিশ্বব্যাংকের দেয়া হিসাবের সঙ্গে ভিন্নমত পোষন করে তা নাকচ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওই দিন অনলাইনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তাদের (বিশ্বব্যাংকের) হিসাব অনুমান নির্ভর। এটি আরো বেশি হবে।‘
চলতি অর্থবছরে বাজেটে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৮ দশমিক ২ শতাংশ। সে তুলনায় বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফের পূর্ভাবাস অনেক কম।
তবে করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী সংস্থা দুটি।