সব সূচকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়েছে। তবে স্বাধীনতার প্রথম ৩০ বছরে আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। এজন্য এখন দ্বিগুণ গতিতে এগোতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ২০২১ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ভার্চুয়াল এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম)।
বিএসইসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো করেছি। রপ্তানি সূচকে আমাদের অবস্থান ভালো। খাদ্য উৎপাদনে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আমরা বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে আছি। আবাসন সেক্টরে আমাদের অগ্রগতি আশানুরূপ। এ অবস্থায় এ ধরনের সম্মেলন আমাদের আরও এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।’
তিনি বলেন, ‘সম্মেলন থেকে যেসব অ্যাকশন প্ল্যান আসবে তা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। বিএসইসিও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছে। এজন্য শিগগিরই গ্রিন বন্ড বাজারে নিয়ে আসার উদ্যোগ রয়েছে।’
সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. আতিউর রহমান বলেন, 'ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের ব্যবস্থা করে, তাই পুঁজিবাজারই হলো দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের মূল ভরসা। মার্কেটের দক্ষতা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে গুড ডিসক্লোজারের ব্যবস্থা করতে হবে। ভালো প্রতিষ্ঠানকে মার্কেটে আনতে প্রতিযোগিতামূলক প্রাইসিং নিশ্চিত করতে হবে।’
গ্লোবাল গ্রিন গ্রোথ ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশের ডিরেক্টর জেনারেল ফ্রাঙ্ক রিজবারম্যান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গ্রিন ফাইন্যান্সিং জোরদার করতে গ্রিন প্রজেক্টগুলোতে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের (আরঅ্যান্ডডি) উপর গুরুত্ব দেন।
সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের স্বল্পতা রয়েছে, কিন্তু মানবসম্পদ রয়েছে। এ উভয় সম্পদের সমন্বয়ের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মাহমুদা আক্তার।
দুই দিনের এই সম্মেলনে সারাবিশ্ব থেকে ৩২ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ, গবেষক, পেশাজীবী, মার্কেট স্টেকহোল্ডার, নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ ব্যক্তিরা অংশ নিচ্ছেন।