বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেশির ভাগ ধোঁয়াবিহীন তামাক প্রতিষ্ঠান কর ফাঁকি দেয়

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২১ ০৯:২৫

তামাকবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সি টিএফকে) এক গবেষণায় দেখা যায়, ৫৫ শতাংশ ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের প্রতিষ্ঠানই কর ফাঁকি দিচ্ছে।

জর্দা ও গুল জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হলেও এর ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো কর দেয় না সরকারকে।

ধোঁয়াবিহীন এসব তামাকপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশ এখনও করজালের বাইরে।

তামাকবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) এক গবেষণায় দেখা যায়, ৫৫ শতাংশ ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের প্রতিষ্ঠানই কর ফাঁকি দিচ্ছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে জর্দা ও গুলের ৪৮৩টি কারখানা আছে। এর মধ্যে সরকারকে নিয়মিত কর দেয় মাত্র ২১৮টি। অর্থাৎ বেশির ভাগই কর দেয় না সরকারকে।

সোমবার প্রকাশিত এ গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে যৌথভাবে ওয়েবিনারের আয়োজন করে যথাক্রমে তামাকবিরোধী সংগঠন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, উবিনিগ, ভয়েস এবং প্রজ্ঞা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা) জাকিয়া সুলতানা।

গবেষণায় বলা হয়, শুধু কর ফাঁকি নয়, তামাকপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অবৈধভাবে ব্যবসাও করছে।

এতে দেখা যায়, দেশের ৮৮টি প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নেই। এর মধ্য ৮১টি জর্দা কারখানা, বাকি ৭টি গুল কারখানা।

৯১ শতাংশ উৎপাদনকারী যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত সনাতন ব্যবস্থায় হাতে ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য উৎপাদন করেন।

সাধারণত বাড়িতে বা ক্ষুদ্র পরিসরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব কারখানায় তামাকপণ্য উৎপাদিত হয়। এসব কারখানায় মোট মাসিক গ্রস টার্নওভারের পরিমাণ ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত উৎপাদনব্যবস্থাই ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের কর আহরণে বড় বাধা। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার তাগিদ দিয়ে তারা বলেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব প্রতিষ্ঠানকে করজালে আনতে পারলে সরকারের রাজস্ব আহরণ বর্তমানের চেয়ে অনেক বাড়বে।

এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো-ফ্রি কিডস বাংলাদেশ-এর লিড পলিসি অ্যাডভাইজার, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

আলোচনায় অংশ নেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস-এর রিসার্চ ডিরেক্টর মারিয়া জি. কারমোনা ও সাউথ এশিয়া প্রোগ্রামস ডিরেক্টর বন্দনা শাহ।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর সদস্য (মূসক নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা) জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘শুধু রাজস্ব নয়, জনস্বাস্থ্যের বিবেচনায় ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর ব্যবহার কমলে স্বাস্থ্য খাতে খরচ কমবে।’

তামাকপণ্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: স্বয়ংক্রিয় ট্যাক্স রিটার্নপদ্ধতি প্রচলন, আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ এনবিআর জনবলকে প্রশিক্ষণ প্রদান, ট্র্যাকিং ও ট্রেসিং পদ্ধতির মাধ্যমে এসব পণ্যে ব্যান্ডরোল ব্যবহার, অনিবন্ধিত কারখানাগুলোকে করজালের আওতায় নিয়ে আসতে স্থানীয় সরকার প্রশাসনকে ক্ষমতা প্রদান এবং তামাকপণ্য উৎপাদনকারীদের পুরস্কার প্রদান না করা।

এ বিভাগের আরো খবর