ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে চার দিন ধরে বন্ধ রয়েছে পণ্য ওঠানামা।
এই অচলাবস্থার কারণে সরকার চার দিনে প্রায় ১২ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
স্থলবন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত পণ্য খালাস বন্ধ আছে।
ট্রাকপ্রতি লেবারদের ৩৮০ টাকা বিল দেয়া হয়। প্রায় ৪০ টন পণ্য খালাসে এই টাকা কিছুই না। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় শ্রমিকদের। এত দিন ট্রাকপ্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বকশিশ দিতেন ব্যবসায়ীরা। এই বকশিশ হঠাৎ বন্ধ করে দেয়ায় শ্রমিকেরা কাজও বন্ধ করে দিয়েছেন।
আনোয়ারুল জানান, শ্রমিকরা বকশিশ আবার চালু করার দাবি জানাচ্ছে।
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, ‘প্রতি টন পণ্য খালাসে ৭২ টাকা করে পরিশোধ করতে হয় ব্যবসায়ীদের। এর সঙ্গে লেবারদের ট্রাকপ্রতি বকশিশ দিতে হয় ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। বাড়তি এই বকশিশের টাকা গোনা সম্ভব নয় বলে তারা লেবার ডাকা বন্ধ করে দিয়েছেন।’
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, প্রতিদিন গড়ে ৩ কোটি টাকার রাজস্ব এখান থেকে আদায় হয়। সেই হিসাবে চার দিনে রাজস্ব ক্ষতি দাঁড়ায় প্রায় ১২ কোটি টাকা।
ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত হোসেন জানান, অচলাবস্থা নিরসনে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে কবে নাগাদ বিষয়টি সমাধান হবে, তা তিনি নিশ্চিত করেননি।