করোনা মহামারিতে পুঁজিবাজারে বন্ধ থাকবে না খোলা থাকবে সেটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনেক আগেই চূড়ান্ত করলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক, এ সময় ভালো যাবে না পুঁজিবাজার।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সূচকের পতন হয় ১৮১ পয়েন্ট। লেনদেনে বেড়েছে মাত্র ছয়টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর।
লেনদেনের শুরুতেই পতনের জানান দেয় পুঁজিবাজার। ১৫ মিনিটে সূচকের পতন হয় ১২৫ পয়েন্ট।
এমন অবস্থায় লকডাউন চলাকালে মুনাফার প্রত্যাশা না করে বিনিয়োগ সুরক্ষার প্রতি মনোযোগী হতে দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের। এ কারণে পোর্টফোলিওতে থাকা উত্তোলনযোগ্য টাকা ওঠাতে আগ্রহী ছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
কেন অর্থ উত্তোলনে আগ্রহ
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার ঐক্য পরিষেদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, রোববার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল, পুঁজিবাজার বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসইর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের লেনদেন বন্ধ হবে না।
রোববারের পতন দেখে বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করেছেন এবং যার কোডে (পোর্টফোলিও) যে অর্থ ছিল, সেগুলো উঠিয়ে নিতে চেয়েছেন। কারণ, অনেক বিনিয়োগকারী আছেন, যাদের এখান থেকে টাকা নিয়ে সংসার চালাতে হবে।
সরকারের ঘোষিত লকডাউনেরর কারণে হাতে নগদ অর্থসংকট যাতে না হয়, সে জন্যই টাকা উত্তোলনের চাপ ছিল।
রোববার প্রাইলিংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডে টাকা উত্তোলনের মোট ৪৪টি আবেদন জমা পড়ে। অপর একটি ব্রোকার হাউজে ৫৮টি আবেদন জমা পড়ে।
স্বপন নামের এক বিনিয়োগকারী জানান, তিনি নিজে কোনো টাকা উত্তোলন করেননি। তবে তার সঙ্গের অনেকেই টাকা উত্তোলনের জন্য আবেদন করেছেন।
তিনি বলেন, লকডাউনে বাজার যে খুব ভালো হবে, সেটি নিশ্চিত নয়। ফলে নতুন বিনিয়োগ না করে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা থেকে মুনাফা উত্তোলনের অপেক্ষা করবেন। তবে এ সময়ে নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী নন তিনি।
আরেক বিনিয়োগকারী সাত্তার হোসেন জানান, এ বাজারে নতুন বিনিয়োগ নয়। লকডাউন শেষ হওয়ার পর বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করবেন তিনি। তবে পোর্টফোলিওতে যেসব শেয়ার আছে, সেগুলোর দর আরও কমলে সমন্বয় করে শেয়ার কেনার আগ্রহের কথা জানান তিনি।
কীভাবে উত্তোলন হবে টাকা
পুঁজিবাজারের বেনিফিশারি ওনার্স (বিও) হিসাব থেকে চাইলেই টাকা উত্তোলন করা সম্ভব নয়। এ জন্য একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবে উত্তোলনযোগ্য টাকা থাকতে হবে। অর্থাৎ শেয়ার বিক্রির এক দিন পর টাকা উত্তোলনের জন্য আবেদন করতে হয় এবং তা দুই থেকে তিন কার্যদিবস পর বিনিয়োগকারীর ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর হয়।