বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধে আবার ছাড়

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২১ ২১:৩৩

লকডাউনে বিল পরিশোধের সীমা পেরিয়ে গেলে কোনো প্রকার লেট পেমেন্ট ফি আরোপ করতে পারবে না ব্যাংক। পূর্ববর্তী মাসের বিলের সুদের ওপর নতুন কোনো সুদ আরোপ করা যাবে না।  বিলের সময় পার হয়ে গেলে কেবল মূল অঙ্কের টাকার ওপর সুদ আরোপ করা যাবে।

লকডাউনের সময় ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই সময়ে যাদের বিল দেয়ার সময় শেষ হওয়ার কথা, তাদেরকে জরিমানা ছাড়া বিল পরিশোধে আরও পাঁচ কার্যদিবস সময় দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন শুরুর আগের দিন রোববার এই নির্দেশ দেয়া হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, বর্ধিত সময়সীমা পার না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রকার লেট পেমেন্ট ফি আরোপ করতে পারবে না ব্যাংক।

নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারঘোষিত নিষেধাজ্ঞা (লকডাউন) আরোপকালে যদি ক্রেডিট কার্ডের বিলের সময় পার হয়ে যায়, তবে কেবল মূল অঙ্কের টাকার ওপর সুদ আরোপ করতে পারবে ব্যাংক।

তবে পরবর্তী মাসের বিলে, পূর্ববর্তী মাসের বিলের সুদের ওপর নতুন কোনো সুদ আরোপ করা যাবে না।

গত বছরের মার্চে করোনা সংক্রমণের সময়ও এই ধরনের সুবিধা দেয়া হয়েছিল।

প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেনের সীমাও কিছুটা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেসব কার্ড দিয়ে কেনাকাটার সময় কার্ডটি দূর থেকে ধরেই লেনদেন করা যায়, সে ধরনের কার্ডের প্রতিটি লেনদেনের ব্যয় সীমা ৩ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

লকডাউন চলাকালে সার্বক্ষণিকভাবে এটিএম, ইন্টারনেট, অ্যাপ ও ইউএসএসডিভিত্তিক লেনদেন সেবা চালু রাখতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।

এ জন্য সকল ব্যাংক, এমএফএস, পিএসপি এবং পিএসওগুলোকে স্ব স্ব সিস্টেম অবকাঠামোর উপর সতর্ক নজরদারি রাখতে বলা হয়।

সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য ই-মেইল, ফিশিং ই-মেইল আক্রমণ প্রভৃতি বিষয়ে বিশেষ নজরদারির কথাও বলা হয় সার্কুলারে।

বলা হয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুযায়ী সকল অবকাঠামো যথারীতি চালু রাখতে হবে এবং এ সংক্রান্ত নিরাপত্তা ও সাইবার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক থাকবে।

সব ব্যাংক, এমএফএস, পিএসপি এবং পিএসও প্রতিষ্ঠানগুলো স্ব স্ব গ্রাহক, মার্চেন্ট ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে লেনদেন সংক্রান্ত প্রতারণা ও স্যোশাল মিডিয়া, ই-মেইল, মোবাইল ফোন-এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভিত্তিক আর্থিক প্রতারণার বিষয়ে সতর্ক করবে এবং বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতির পাশাপাশি নিজস্ব ওয়েবসাইটেও সতর্কতামূলক বার্তা প্রদর্শন করবে।

ব্যাংক ও পরিশোধ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অভিযোগ গ্রহণ ও পরামর্শ প্রদানের জন্য ২৪/৭ হটলাইন ও ইন্টারনেট ভিত্তিক গ্রাহক সেবা চালু রাখতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়, গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের জন্য ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার, অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিম), এজেন্ট ব্যাংকিং-এর এজেন্ট পয়েন্ট এবং মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস)-এর এজেন্ট পয়েন্টগুলোতে নগদ অর্থ ও ই-মানি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সরবরাহের সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে নিশ্চিত করবে।

লেনদেনের স্থানগুলো অর্থাৎ ব্যাংক, এটিএম, পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) ও এজেন্ট পয়েন্টগুলো নিয়মিতভাবে জীবাণুমুক্ত ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।

এ বিভাগের আরো খবর