লকডাউন চলাকালে মোবাইল ব্যাংকিং এর গ্রাহকদের বর্তমান সীমার প্রায় তিন গুণ টাকা পাঠানোর সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকদের সেন্ড মানির মাসিক সীমা ৭৫ হাজার টাকা। এটি বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হয়েছে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এতে জানানো হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ওষুধ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব, মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব, এজেন্ট ব্যাংকিং হিসাবকে ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা যাবে।
করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ সময় বন্ধ থাকবে গণপরিবহন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না।
ব্যাংক খোলা থাকলেও লেনদেনের সময় কমানো হয়েছে। ১০টা থেকে ৪টার বদলে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে মানুষের আর্থিক লেনদেনে ব্যাঘাত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত কয়েক বছরে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা সারাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকাতেও মুহূর্তেই পাঠানো যায় বলে গ্রাহক সংখ্যাও কয়েক কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
শুরুতে লেনদেনের সীমা না থাকলেও পরে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিটি গ্রাহকের দিনের ও মাসে লেনদেনর সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, বিদ্যমান পদ্ধতিতে সেন্ডমানির ক্ষেত্রে একজন গ্রাহককে কোনোভাবেই এক মাসে বিনাচার্জে ৪০ হাজার টাকার বেশি সেন্ডমানির সুবিধা দেয়া যাবে না। তাছাড়া একজন গ্রাহক আরেকজন গ্রাহককে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা বিনা খরচে সেন্ডমানি করতে পারবে।