বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিজিএমইএ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮৬ শতাংশ

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২১ ২০:৪৫

নির্বাচনে ঢাকায় ১ হাজার ৮৫৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৬০৪ জন। চট্টগ্রামে ৪৬১ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৯২ জন। এই হিসেবে ঢাকায় ৮৬ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে ৮৫ শতাংশ করে ভোট পড়েছে। সম্মিলিতভাবে ২ হাজার ৩১৪ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৯৯৬ ভোট বা ৮৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন। এতে প্রায় ৮৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে রোববার সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। চট্টগ্রামে বিজিএমইএর আঞ্চলিক কার্যালয়েও একই সময়ে ভোট গ্রহণ চলে। টানা ১০ ঘণ্টা ভোট গ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা।

নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ ফরহাত আনোয়ার জানান, নির্বাচনে ঢাকায় ১ হাজার ৮৫৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৬০৪ জন। চট্টগ্রামে ৪৬১ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৯২ জন। এই হিসেবে ঢাকায় ৮৬ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে ৮৫ শতাংশ করে ভোট পড়েছে। সম্মিলিতভাবে ২ হাজার ৩১৪ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৯৯৬ ভোট বা ৮৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক নির্দেশনা মেনেই নির্বাচন হয়েছে। নির্দেশনা মেনে প্রার্থী ও ভোটাররা মাস্ক পড়ে কেন্দ্রে এসেছেন। নির্বাচন বোর্ড প্রতি ঘণ্টায় আপডেট জানিয়ে দিয়েছে।

এর আগে শেষ বিকেলে ভোট দেওয়া শেষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ইউরোপ-আমেরিকাসহ সারাবিশ্বে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পড়েছে। এমন প্রভাব বাড়ায় দেশের রফতানি আয়ের প্রধান উৎস পোশাকখাতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন কমিটির জন্য করোনা মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ হবে। চমৎকার পরিবেশে বিজিএমইএ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিজিএমইএ বর্তমান সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, নতুন বোর্ডের কাছে পণ্যের দাম বাড়ানোসহ অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তাছাড়া বিজিএমইএ’র ভাবমূর্তির বিষয়ও আছে। আশা করছি, আগামীর বোর্ড এ খাতের উন্নয়নে আরও কাজ করবে।

গত আট বছরে ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে নেতা নির্বাচিত হয়েছে। আট বছর পর এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট হয়েছে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্যানেল দুটি হচ্ছে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম। সম্মিলিত পরিষদের দলনেতা বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি ও জায়ান্ট গ্রুপের প্রধান ফারুক হাসান।

ফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হান্নান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম সামছুদ্দিন মিয়া।

সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক ফোরাম থেকে প্রতিদ্বন্ধীতা করেছেন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলিয়ে সংগঠনের আগামী দুই বছরের জন্য ৩৫ পরিচালক পদের বিপরীতে দুই প্যানেল থেকে লড়ছেন ৭০ প্রার্থী।

ভোটাররা ৩৫ সদস্যের বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদে একজন সভাপতি, একজন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং ছয়জন সহসভাপতি নির্বাচিত করবেন। সাধারণত যে প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, সেই প্যানেল থেকেই সভাপতি নির্বাচিত হবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে নতুন কমিটি দায়িত্ব নেবে ২০ এপ্রিল।

এ বিভাগের আরো খবর