লকডাউনের আগের দিন পুঁজিবাজারে মোবাইল অ্যাপের লেনদেন সামান্য বেড়েছে। তবে লকডাউনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন করতে হবে বলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিদ্ধান্তের পর যতটা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছিল, ততটা বাড়েনি।
রোবাবর ডিএসই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ৪৫ হাজার ৭৯৫টি অর্ডার এসেছে মোবাইলে অ্যাপের মাধ্যমে। এর মধ্যে ৩৭ হাজার ৮৩৭টি অর্ডার কার্যকর হয়েছে।
এদিন মোট ১৯ হাজার ৩৪১ জন মোবাইল অ্যাপ দিয়ে লেনদেনে অংশগ্রহণ করেছেন।
আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ১৯ হাজার ৯৫১ জন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেনে অংশ নিয়েছিল। সেদিন মোট অর্ডার ছিল ৪৬ হাজার ৯০৬টি। এর মধ্যে কার্যকর হয় ৩৫ হাজার ৭১১ টি।
এই লেনদেন আরও তিন গুণেরও বেশি বাড়ানোর সুযোগ আছে। বর্তমানে ডিএসই মোবাইল অ্যাপে নিবন্ধন সংখ্যা ৬২ হাজার ৪৭৬টি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ডিএসইর উপ মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে বিনিয়োগকারীরা ব্রোকারেজ হাউজে না গিয়ে সহজে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ডিএসই মোবাইল অ্যাপ আগের তুলনায় অনেক বেশি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা সহজে ডিএসই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবে।’
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কত টাকা লেনদেন হয়েছে সে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটি সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।’
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম করোনা মহামারির সময়ে সরাসরি ব্রোকারেজ হাইজে না গিয়ে ডিজিটাল ডিভেইস- মোবাইল অ্যাপ, মোবাইলে শেয়ার ক্রয় বিক্রিয় করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশে ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির প্রথম পর্যায়ে আমরা অনেক বেশি ডিজিটাল ডিভাইসে অভ্যস্ত হয়েছি। এখন সবাই এসব ডিভাইসের মাধ্যমে তাদের কার্য্ক্রম সম্পন্ন করতে পারে। ফলে বিনিয়োগকারীরা চাইলেই ঘরে বসে শেয়ারবাজারে লেনদেন পরিচালনা করতে পারে।’
লকডাউনে আড়াই ঘণ্টা ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্তের পর পুঁজিবাজার খোলা থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে সকাল ১০টা থেকে আড়াই ঘণ্টা খোলা থাকবে ব্যাংক। আর বিএসইসি জানিয়েছে ১০টা থেকে দুই ঘণ্টা চলবে পুঁজিবাজারের লেনদেন।