লকডাউনের আগের দিন রোববার মোবাইল অ্যাপে পুঁজিবাজারে ৪৫ হাজারের বেশি অর্ডার লেনদেন হয়েছে।
সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সাত দিনের লকডাউন। এই সময়ে বন্ধ থাকবে না শেয়ারবাজার। তবে সামাজিক দূরত্ব মানতে এবং নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ডিজিটালি লেনদেনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে সরাসরি ব্রোকারেজ হাইজে না গিয়ে ডিজিটাল ডিভাইসে বিশেষ করে, মোবাইল অ্যাপ, মোবাইলে শেয়ার কেনাবেচার আহ্বান জানান।
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট ৪৫ হাজার ৭৯৫টি অর্ডার এসেছে মোবাইলে অ্যাপের মাধ্যমে। এর মধ্যে ৩৭ হাজার ৮৩৭টি অর্ডার কার্যকর হয়েছে।
আর এ দিন ১৯ হাজার ৩৪১ জন মোবাইল অ্যাপ দিয়ে লেনদেন করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার মোট ১৯ হাজার ৯৫১ জন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করেছেন। যেখানে মোট অর্ডার ছিল ৪৬ হাজার ৯০৬টি। এর মধ্যে অর্ডার কার্যকর হয়েছে ৩৫ হাজার ৭১১টি।
এ বিষয়ে ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে বিনিয়োগকারীরা ব্রোকারেজ হাউজে না গিয়ে সহজে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারেন।
‘বর্তমানে ডিএসই মোবাইল অ্যাপ আগের তুলনায় অনেক বেশি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা সহজে ডিএসই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারছেন।’
অ্যাপের মাধ্যমে কত টাকা লেনদেন হয়েছে সে প্রশ্নে তিনি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা বলতে পারেননি।
বর্তমানে ডিএসই মোবাইল অ্যাপে নিবন্ধন করেছেন ৬২ হাজার ৪৭৬ জন।
সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশে ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) উদ্যোগে রোববার আয়োজিত এক কর্মশালায় বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, ‘করোনা মহামারির প্রথম পর্যায়ে আমরা অনেক বেশি ডিজিটাল ডিভাইসে অভ্যস্ত হয়েছি। এখন সবাই এসব ডিভাইসের মাধ্যমে তাদের কার্য্ক্রম সম্পন্ন করতে পারে। ফলে বিনিয়োগকারীরা চাইলেই ঘরে বসে শেয়ারবাজারে লেনদেন পরিচালনা করতে পারেন।’
সোমবার থেকে সরকারের লকডাইন সিদ্ধান্তে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) পৃথকভাবে পুঁজিবাজারে লেনদেন সম্পর্কে বিএসইসি চেয়ারম্যান জানান, ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজার খোলা থাকবে।
এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের গুজবে কান না দেয়ার আহবান জানানো হয়।