ধর্মপন্থি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির, মহাসচিবসহ ৫৪ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক কর্মকর্তা। বলেন, ‘বৃহস্পতিবারই তাদের হিসাবের বিষয়ে তলব করা হয়।’
হেফাজতের যেসব নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, মহাসচিব নূর হুসাইন কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মামুনুল হক, সহসভাপতি মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, মহাসচিব সৈয়দ ফয়জুল করীম, আল-হাইয়্যাতুল উলয়াও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
বেশ কয়েক বছর ধরে নানা ইস্যুতে আলোচনা-সমালোচনায় রয়েছে হেফাজতে ইসলাম। সবশেষ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশত বর্ষ উপলক্ষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর উপলক্ষে দেশব্যাপী তাণ্ডব চালায় সংগঠনটি।
মোদির বাংলাদেশে আগমণের দিন ২৬ মার্চ জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ মিছিলে তাণ্ডব চালায় হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। একই রকম তাণ্ডব চালানো হয় চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। পরের দিন দেশজুড়ে হরতাল ডাকে সংগঠনটি। সহিংসতা হয় এদিনও। কিছু কিছু জায়গায় সহিংতা চলে এর পরের দিনও।
উত্তালের ওই তিনদিনে শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই নিহত হন ১১ জন। চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে নিহত হয় অন্তত চারজন। অভিযোগ উঠেছে, বিক্ষোভ, হরতাল, মিছিলে সরকারি অফিস, দপ্তর, মুক্তিযুদ্ধ স্থাপনায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে হেফাজতের কর্মীরা।
এর মধ্যে শনিবার এক নারীসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন হেফাজত নেতা মামুনুল হক। এদিনও ওই এলাকায় তাণ্ডব চালায় হেফাজত কর্মীরা। ছিনিয়ে নেয় মামুনুলকে।
এসব প্রেক্ষাপটের মধ্যেই সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন জেলায় হেফাজতের ৫৪ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করল বাংলাদেশ ব্যাংক।