তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ২০২১-২৩ নির্বাচন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় ৩০০ ভোট পড়েছে।
করোনাভাইরাসের মধ্যে চলমান এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলই জয়ের আশা করছে।
রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে রোববার সকাল ৯টায় ভোট শুরু হয়। চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
একই সময়ে চট্টগ্রামে বিজিএমইএর আঞ্চলিক কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড জানায়, ভোট গ্রহণের প্রথম দুই ঘণ্টায় ৩০০ ভোট পড়েছে। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভোট হচ্ছে। নির্দেশনা মেনে প্রার্থী ও ভোটাররা মাস্ক পরে কেন্দ্রে আসছেন। নির্বাচন বোর্ড প্রতি ঘণ্টায় আপডেট জনিয়ে দিচ্ছে।
নেতৃত্ব নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে। প্যানেল দুটি হচ্ছে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম। সম্মিলিত পরিষদের দলনেতা বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি ও জায়ান্ট গ্রুপের প্রধান ফারুক হাসান। ফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হান্নান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম শামসুদ্দিন মিয়া।
বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি রুবানা হক ফোরাম থেকে পরিচালক ও সভাপতি পদে লড়ছেন।
সম্মিলিত পরিষদ নেতা ফারুক হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের ইশতেহারে কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় আমরা কী করব তার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমি উদ্যোক্তাদের কাছে কমিটমেন্ট করেছি পোশাক খাতের উন্নয়নে আগামী দুই বছর নিজেকে উৎসর্গ করব। ৎ
‘বিজিএমইএ সদস্যরা আমাকে সে সুযোগ করে দেবে বলে বিশ্বাস করি। বিজয়ী হলে কারখানা সচল রাখা এবং মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়ন হবে প্রথম কাজ।’
ফোরাম নেতা এ বি এম সামছুদ্দিন বলেন, ‘টেকসই পোশাকশিল্প গড়াই আমাদের লক্ষ্য। পোশাক খাতের উন্নয়নে আরও কাজ করার আছে। সদস্যরা আমাদের পূর্ণ প্যানেলকে বিজয়ী করবে বলে আমার বিশ্বাস আছে।
‘বিজয়ী হলে করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি উন্নয়ন, ব্যবসা পরিচালনার ব্যয়ভার কমানো ও বাজার সম্প্রসারণে সবচেয়ে বেশি জোর দেবে ফোরাম। তবে করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিকের স্বাস্থ্যসুরক্ষা দিয়ে কাজ চলমান রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এ খাতকে এগিয়ে নিতে হবে।’
পোশাকের বড় বাজার ইউরোপ-আমেরিকা করোনাভাইরাসের সংক্রমণে জর্জরিত, যা দেশের রপ্তানি খাতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে।
কঠিন এই পরিস্থিতিতে পোশাক খাতের সংকট মোকাবিলায় কারা বেশি অবদান রাখবেন এবার তারাই ভোট পাবেন বলে জনিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা।
প্রার্থীরাও সংকট উত্তরণের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন কাড়ার চেষ্টা করছেন।
বিজিএমইএর ভোটার ও পোশাক খাতের মালিকদের অপর সংগঠন বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমি ভোটার হিসাবে মূল্যায়ন করব কারা বিপদে সদস্যদের পাশে থাকবে, সরকারের সঙ্গে নেগোশিয়েট করে সদস্যদের সুবিধা আদায় করতে পারবে এবং পোশাকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে কাজ করবে। সে হিসাব করেই ভোট দেব।’
গত আট বছরে ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচন হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫ পরিচালক পদে লড়ছেন দুই প্যানেলের ৭০ প্রার্থী।
এবার ভোট দেবেন ২ হাজার ৩১৩ জন তৈরি পোশাকশিল্প মালিক। তাদের মধ্যে ঢাকার ১ হাজার ৮৫৩ ও চট্টগ্রামের ৪৬১ জন।
ভোটাররা ৩৫ সদস্যের বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদে একজন সভাপতি, একজন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং ছয়জন সহসভাপতি নির্বাচিত করবেন।
সাধারণত যে প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, সেই প্যানেলের দলনেতাই সভাপতি নির্বাচিত হবেন।