বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কমতে শুরু করেছে মুরগির দাম

  •    
  • ২ এপ্রিল, ২০২১ ২০:২৪

সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কম দাম রয়েছে মুরগির বাজারে। কেজিতে ১০ টাকা কমে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়; ২০ টাকা কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায়।

কয়েক দিন ক্রমাগত বাড়ার পর রাজধানীর বাজারে কমতে শুরু করেছে মুরগির দাম। আগের সপ্তাহের চেয়ে কম দামে মিলছে মুরগির ডিম। লেবুসহ দু একটিতে দাম বাড়লেও এখনও নাগালের মধ্যেই রয়েছে সবজি। অন্যান্য নিত্য পণ্য মিলছে আগের দামেই।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কম দাম রয়েছে মুরগির বাজারে। কেজিতে ১০ টাকা কমে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়; ২০ টাকা কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায়।

তবে আগের মতোই ডিম পাড়া লাল ও সাদা লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকায় এবং দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির ডিমের দামও কমেছে। ডজনে ৫ টাকা কমে লেয়ার মুরগি ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়; আর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৩ টাকায়।

দাম কমার বিষয়ে নিউজবাংলাকে কাওয়ানবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মো. শাহীন বলেন, ‘গত সপ্তাহের চেয়ে খুচরা বাজারে মুরগির দাম কমতে শুরু করেছে।

‘গত সপ্তাহের মাঝামাঝিতে পবিত্র শবে বরাতে বাজারে মুরগির চাহিদা বেশি ছিল, দামও বেশি ছিল। তবে এ সপ্তাহে তেমন কোন কারণ নেই। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কমেছে। তাই চাহিদা কম থাকায় দামও কমেছে। গেল সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ২০ টাকা কমেছে সোনালী মুরগির দাম।’

এই ব্যবসায়ী জানান, মুরগির সরবরাহও বেড়েছে তাই সামনে দাম আরও কমতে পারে।

প্রায় একই দামে মুরগি বিক্রি হচ্ছে বিজয় সরণির কলমি লতা বাজারেও। এ বাজরের বিক্রেতা আবু রায়হান জানান, আগের সপ্তাহের চেয়ে দাম কমে ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে সোনালী মুরগির দাম ২৩০ টাকার নিচে বিক্রি করা যাচ্ছে না। কারণ পাইকারি বাজারে কেনা বেশি পড়েছে।

অধিকাংশ সবজি রয়েছে আগের দামেই। কলমিলতা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. সবুজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ সপ্তাহে সবজির দাম স্থির রয়েছে। পাইকারি বাজারেও একই অবস্থা। গ্রীষ্মের কিছু সবজির দাম কমেছে। বেড়েছে বেশ কয়েকটি সবজির দাম।’

তিনি জানান, যাত্রীবাহী পরিবহনে ভাড়া বাড়লেও পণ্যবাহী পরিবহনের ভাড়া বাড়েনি, চলাচলেও কড়াকড়ি নেই। তবে এ অবস্থা আরও বাড়লে সবজির দাম বাড়তেও পারে।

সবজির বাজারে দাম বেড়েছে টমেটোর। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। এছাড়া ১০ টাকা বেড়ে বেগুন বিক্রি হয়েছে বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। আগের সপ্তাহের চেয়েও কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে গ্রীষ্মের সবজি বরবটি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা এবং ঢেড়স ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন আসা ১০০ টাকার সজনে ডাটাও শুক্রবার ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

অন্যান্য সবজির মধ্যে মানভেদে ২৫ থেকে ৫০ টাকায়, করলা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, উচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মূলা ৩৫ থেকে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা ও ধুন্দল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, লতি ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, আলু ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিটি মাঝারি আকারের লাউ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, বাঁধাকপি ও ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সামছু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শীতের সময় সবজির দাম কম থাকে। এখন শীতের সবজি কম, আবার গ্রীষ্মের সবজিরও পুরোপুরি আসেনি। এসব সবজি বাজারে এলে দাম আরও কমবে। তবে কাঁচা বাজারে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে লেবুর। আকার ভেদে প্রতিহালি লেবু ৪০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের লেবু ব্যবসায়ী আবদুল হাই জানান, কয়েকদিন আগে সবররাহ কম থাকলেও এখন বাজারে প্রচুর লেবুর সরবরাহ আছে।

পাইকারিতে প্রতি একশ ছোট লেবু ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং বড় লেবু সর্বোচ্চ ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মরিচের দামেও পাইকারি ও খুচরায় বেশ পার্থক্য রয়েছে। কলমিলতা বাজারে যে মরিচ কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্র হয়েছে। সেএকই মরিচ কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে পাল্লা (৫ কেজি) ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মুদি পণ্যের মধ্যে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৫ টাকা, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকা এবং চায়না পেঁয়াজ ২৬ থেকে ২৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আগের মতোই দেশি রসুন ৬০ থেকে ৬০ টাকায় থাকলেও আমদানি করা রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১১৫ থেকে ১২০ টকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া, দেশি আদা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টাকা, আমদানির আদা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, চিনি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা, মসুর ডাল ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ভোজ্যতেলের মধ্যে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়, খোলা পাম অয়েল ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়, সয়াবিনের এক লিটারের বোতল ১৪০ টাকায় এবং ৫ লিটারের বোতল ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর