এবার সারাদেশে বোরো ধান চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক আশা করছেন, ফসল উঠলেই চালের দাম নিয়ে যে সংকট সেটি কেটে যাবে।
চলতি মৌসুমে দেশে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে। চাষ হয়েছে ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদন বাড়াতে এবার হাইব্রিড জাতের ধানের চাষে জোর দিয়েছে দরকার।
গত বছর করোনা আঘাতের বছরে লকডাউন পরিস্থিতিতে বোরোর উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেয় উত্তরাঞ্চলে কয়েক দফা বন্যায়। আর এই ঘাটতির কারণে চালের দাম গত বছরের শেষ প্রান্তিকে বেড়ে যায়। আর সংকট দূর করতে বিদেশ থেকে সীমিত পরিসরে আমদানির সুযোগও দিয়েছে সরকার।
তবে এবার আবহাওয়া পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো। আর ফসল কাটাও শুরু হয়ে গেছে কোথাও কোথাও। আর এ কারণে পরিস্থিতি পাল্টে যাওয়ার আশা করছেন কৃষিমন্ত্রী।
বৃহিস্পতিবার সচিবালয়ে বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোরো ধান কাটা উদ্বোধন করেন তিনি। অপরপ্রান্তে যুক্ত ছিলেন সুনামগঞ্জের জয়কলস ইউনিয়নের আস্তনার কৃষকরা, যারা ধান কাটেন।
সচিবালয়ে বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোরো ধান কাটা উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক
বোরো মৌসুমে দেশে সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেজন্য হাওরসহ সারা দেশের ধান কাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আজ ধান কাটা উদ্বোধন করেছি, যাতে মানুষ সচেতন হয়।’
বোরো ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে পারলে খাদ্য নিয়ে স্বস্তিতে থাকা যাবে বলে মনে করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘হাওরসহ সারা দেশের বোরো ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে পারলে দেশে খাদ্য নিয়ে তেমন কোনো ঝুঁকি থাকবে না। আমরা স্বস্তিতে থাকতে পারব। সেজন্য, সফলভাবে বোরো ধান কাটায় জন্য সম্মিলিতভাবে সারা জাতিকে এগিয়ে আসতে হবে।
‘মহামারিকালে খাদ্য নিয়ে মানুষকে যাতে আতঙ্কে থাকতে না হয়, খাদ্যের যাতে কোনো অভাব না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে দৃঢ়ভাবে কাজ করছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘গত মৌসুমে বন্যার কারণে ধান-চালের দাম কিছুটা বেশি ছিল। সে জন্য বছরের শুরুতেই আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম যে কোনো মূল্যে উৎপাদন বাড়াতে হবে। এ জন্য বোরো ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হয়েছে।’
চলতি বছর হাইব্রিড জাতের ধানের চাষ বৃদ্ধিতে প্রায় ৭৩ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।