বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুঁজিবাজারে আতঙ্ক কাটছে

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:০৪

করোনা পরিস্থিতিতে ১৮ দফা নির্দেশনা জারির পর প্রথম কার্যদিবেস সূচক হারায় ৯৪ পয়েন্ট। দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রথম ২৪ মিনিটে সূচক পড়ে ৬৯ পয়েন্ট। কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় পুঁজিবাজার। বেশিরভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধি, কম দামে শেয়ার ছাড়তে রাজি না হওয়ায় লেনদেন কমে যাওয়ার চিত্র দেখেছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে জনসমাগম সীমিত করে সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা জারির পর পুঁজিবাজারে আতঙ্ক পুরোপুরি কাটেনি এখনও। তবে নির্দেশনার জারির পর দ্বিতীয় কার্যদিবসে লেনদেনের চিত্র বলছে, উৎকণ্ঠা কিছুটা হলেও কাটতে শুরু করেছে।

নির্দেশনা জারির পর প্রথম কার্যদিবস বুধবার সূচক পড়েছিল ৯৪ পয়েন্ট। দ্বিতীয় কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয় বড় পতনের ইঙ্গিত দিয়েই।

প্রথম ২৪ মিনিটে ৬৯ পয়েন্ট সূচক পতনের পর অবশ্য ঘুরে দাঁড়াতে থাকে বাজার। বিনিয়োগকারীরা কম দামে শেয়ার বিক্রি করতে রাজি নন-এটা বোঝা যায় পরের দুই ঘণ্টার লেনদেনে।

এক পর্যায়ে বেলা একটা ৫২ মিনিটে আগের দিনের তুলনায় সূচকে যোগ হয় আট পয়েন্ট। যদিও শেষ আধা ঘণ্টায় আবার সূচক পড়ে কিছুটা।

দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় সূচক ৭ পয়েন্ট পড়লেও এটি বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস কিছুটা বাড়িয়েছে।

বুধবার লেনদেনে দর বেড়েছিল মাত্র ১১টি কোম্পানির। সেখান আজ লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৩টি কোম্পানির।

লেনদেন ৩০ শতাংশের বেশি কমে যাওয়াও কম দামে শেয়ার ছাড়তে বিনিয়োগকারীদের অনিচ্ছাকেই প্রকাশ করে।

লেনদেনে ভালো অবস্থানে ছিল বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। ব্যাংক ও আর্থিক খাতে ছিল মিশ্রাবস্থা।

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৭ পয়েন্ট সূচক কমলেও সেটি স্বস্তির বার্তা শেষ এক ঘণ্টার উত্থানে

আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা কেন লোকসানে পড়েন, তার কারণ ব্যাখ্যা করে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে শেয়ারের দর কমতে পারে। এটা বিনিয়োগকারীরা যত সহজে মেনে নিতে পারে সূচক ও লেনদেন কমে আসলে ততটা সহজে মেনে নিতে পারে না। তারা মনে করে সূচক ও লেনদেন কমে গেলেই তাদের হাতে থাকা শেয়ারের দরও কমে আসবে। ফলে লাভে হোক বা লোকসানে হোক তখন বিনিয়োগ সুরক্ষায় তারা তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দেন।’

তবে সূচকের পতন থেকে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তাতে আতঙ্ক অনেকটাই কেটে গেছে বলে মন্তব্য এই বিশ্লেষকের।

বিমায় আবার জোয়ার, ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মিশ্র অবস্থা

টানা উত্থান শেষে গত দুই মাসে ব্যাপক দর হারানো বিমা খাত পড়তি বাজারেও চাঙ্গা হতে শুরু করেছে।

চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এই খাতের কোম্পানিগুলোর একযোগে দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেল।

সাধারণ ও জীবন বিমা মিলিয়ে ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮টির, কমেছে ৬টির। দর পাল্টায়নি ৬টির।

বিমা খাতেও সদ্য তালিকাভুক্ত দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ারের তৃতীয় দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। টানা তৃতীয় দিন এক দিনে যত বাড়া সম্ভব, তত বাড়ল দাম।

১০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির দর প্রথম দুই দিনে ৫০ শতাংশ করে বেড়ে হয়েছিল ২২ টাকা ৫০ পয়সা। তৃতীয় কার্যদিবস থেকে ১০ শতাংশ দাম বাড়ার সুযোগ ছিল। বেড়েছেও তা। ২ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে এখন দাম দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৭০ পয়সা।

তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৯টির, কমেছে ১৩টির এবং পাল্টায়নি ৯টির দাম।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বুধবার লভ্যাংশ ঘোষণা করা প্রাইম ব্যাংক। শেয়ার প্রতি দেড় টাকা নগদ লভ্যাংশ প্রস্তাব করার পর শেয়ার দামে যোগ হয়েছে ৭০ পয়সা।

তবে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার প্রস্তাব করা আইএফআইসি ব্যাংক দর হারিয়েছে এক টাকা ৪০ পয়সা। লভ্যাংশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শেয়ারের মূল্যসীমা না থাকার কারণে ব্যাংকটি দর হারিয়েছে ১২ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এদিকে সদ্য লেনদেনে আসা এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ারে দর ১০ পয়সা কমে লেনদেন হয়েছে ১১ টাকা ৯০ পয়সায়।

নন ব্যাংক বা আর্থিক খাতের তালিকাভুক্ত ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ৫টির, কমেছে ১২টির ও দর পাল্টায়নি ৬টির।

দামি ও বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারে মিশ্রাবস্থা

বৃহস্পতিবার তালিকাভুক্ত বহুজাতিক ও দামি শেয়ারের দরে ছিল মিশ্রাবস্থা। দিনে শেষে রেকিড বেনকিউজারের শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। শেয়ার প্রতি লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৫৬৩ টাকায়।

ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার লিমিটেডের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ২ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৪৮ টাকায়।

ম্যারিকো লিমিটেডের শেয়ারদর ৬ টাকা ৯০ পয়সা কমে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭০ টাকায়। বার্জার পেইন্টসের শেয়ারদর ৩ টাকা ৮০ পয়সা কমে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ টাকায়। লিন্ডে বিডির দাম ১০ টাকা ১০ পয়সা কমে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩০৫ টাকা।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের শেয়ার প্রতি দর ১৪ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২০৭ টাকায়।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৭০ পয়েন্টে।

শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০২ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১১ দশমিক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৮৩ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১০০টির ও দর পাল্টায়নি ১১০টির।

মোট লেনদেন হয়েছে ৪৫১ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৬০ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৮ দশমিক ২০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২৫৬ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া ২০৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ৮৫টির ও পাল্টায়নি ৪৭টির। লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর