বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুনাফা তলানিতে, লভ্যাংশও কমাল আইএফআইসি

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ২২:৪৮

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৭০ পয়সা। আগের বছর ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৯২ পয়সা। অর্থাৎ মহামারির বছরে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৬০ শতাংশের বেশি।

মহামারির বছরে আইএফআইসি ব্যাংকের আয় কমে গেছে ব্যাপক হারে। লভ্যাংশও তারা কমিয়ে অর্ধেক করেছে।

২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ব্যাংকটি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে ৫টি শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে পাবেন।

তবে শেয়ার বাড়ায় রেকর্ড ডেটের পর ব্যাংকটির দামও সমপরিমাণ কমে যাবে।

বুধবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের আয় ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন কোম্পানি সচিব মুকাম্মেল হক।

তিনি জানান, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক এশিয়া শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৭০ পয়সা। আগের বছর ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৯২ পয়সা। অর্থাৎ মহামারির বছরে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৬৪ শতাংশের বেশি।

২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছেরর জন্য ব্যাংকটি তার শেয়ারধারীদেরকে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল।

চলতি বছর লভ্যাংশ ঘোষণা করা ব্যাংকগুলোর মধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকই প্রথম ব্যাংক যারা কোনো নগদে লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে না।

চলতি বছর যেসব ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে তার মধ্যে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক কখনও লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারেনি। এবারও তারা লোকসানের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। এই ব্যাংকটি নিয়ে শেয়ারধারীদের মধ্যে কোনো উচ্চাশাও ছিল না।

এর বাইরে বলতে গেলে আইএফআইসি ব্যাংকই বিনিয়েগকারীদের হতাশ করল। এর আগে যত বাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে সবগুলোই আকর্ষণীয় নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

লভ্যাংশ ঘোষণা করা সাত ব্যাংক ডাচ বাংলা, প্রাইম, প্রিমিয়ার, যমুনা, সিটি, মার্কেন্টাইল, ব্যাংক এশিয়া সর্বনিম্ন এক টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক টাকা ৭৫ পয়সা পর্যন্ত নগদে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এর মধ্যে ডাচ বাংলা নগদের পাশাপাশি ১৫ শতাংশে, প্রিমিয়ার, মার্কেন্টাইল ও সিটি ৫ শতাংশ করে বোনাস শেয়ারও দিতে যাচ্ছে।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক শেয়ার প্রতি ৭০ পয়সার সঙ্গে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ওয়ান ব্যাংক ৬০ পয়সা নগদের পাশাপাশি ৫.৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিতে যাচ্ছে।

এসব ব্যাংকের মধ্যে ডাচ বাংলা ছাড়া বাকিগুলোর দাম এত কমে গেছে যে, লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীরা যে টাকা পেতে যাচ্ছেন, সেটি শেয়ার মূল্যের সমপরিমাণ টাকা ব্যাংকে রাখলেও পাওয়া যাবে না।

কোনো কোনো ব্যাংকের বাজার মূল্যের ১০ শতাংশ নগদে লভ্যাংশ হিসেবে পেতে যাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। শেয়ার মূল্যের সমপরিমাণ টাকা ব্যাংকে রাখলে বছর শেষে অর্ধেক টাকাও সুদ হিসেবে পাওয়া যাবে না।

পরিবর্তন হবে ফ্লোর প্রাইস

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ফ্লোর প্রাইসের নতুন নির্ধেশনা অনুযায়ী, যে সব প্রতিষ্ঠান বোনাস লভ্যাংশ দেবে, রেকর্ড ডেটের প্রতিষ্ঠানের যে শেয়ার দর থাকবে তার সঙ্গে লভ্যাংশের সমন্বয় করে নতুন ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হবে।

আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার দর বুধবার ছিল ১১ টাকা ৪০ পয়সা। রেকর্ড ডেটের আগের দিন যদি এই দরই থাকে তাহলে ব্যাংকটির ফ্লোর প্রাইস হবে ১০ টাকা ৯০ পয়সা।

বর্তমানে ব্যাংকটির ফ্লোর প্রাইস ৮ টাকা ৬০ পয়সা।

গত বছরে যখন করোনা মহামারি শুরু হওয়ার আগে পুঁজিবাজারে ক্রমাগত সূচক ও লেনদেন কমে আসছিল তখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ম দর বেধে দিয়েছিল। যে দামের নীচে কোম্পানির শেয়ারের দর নামবে না, সেটিই বর্তমানে ফ্লোর প্রাইস হিসাবে বিবেচিত।

এই দাম নির্ধারণের পর দুটি কোম্পানি বোনাস শেয়ার এবং একটি রাইট শেয়ার দিলেও ফ্লোর প্রাইস পুনর্নির্ধারণ হয়নি। তবে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ২০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণার পর বিএসইসি নতুন নীতিমালা ঘোষণা করে। এ ক্ষেত্রে তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, বোনাস ও রাইট শেয়ারের সঙ্গে সমন্বয় হবে ফ্লোর প্রাইস।

তবে আগের ফ্লোর প্রাইস নয়, রেকর্ড ডেটের মূল্যের সঙ্গে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস সমন্বয় হয়েছে। আর কোম্পানিটির কেবল বোনাস শেয়ার সমন্বয় হয়েছে। শেয়ার প্রতি ৩০ টাকা টাকা নগদ লভ্যাংশ সমন্বয় হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর