পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে তালিকাভুক্তির পর থেকে লোকসানে থাকা আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এবারও লাভের মুখ দেখল না। আর এই অবস্থায় শেয়ারধারীরা এবারও কোনো লভ্যাংশ পাচ্ছেন না।
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিতে ব্যাংকটি প্রথমবারের মতো লাভের মুখ দেখলেও শেষ প্রান্তিকে এসে আবার লোকসানে গেছে।
অবশ্য তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১৭ পয়সা লাভ করেও নয় মাসে মোট ১৫ পয়সা লোকসানে ছিল ব্যাংকটি। আগের দুই প্রান্তিকে ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি ৩২ পয়সা লোকসান দিয়েছিল।
চতুর্থ প্রান্তিকে ব্যাংকটি আরও ১৩ পয়সা লোকসান দিয়েছে। সব মিলিয়ে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২৮ পয়সা।
বুধবার পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে জানানো হয়েছে, লাভের মুখ না দেখলেও ব্যাংকটি মহামারির বছরে আগের চেয়ে ভালো করেছে।
এবার ব্যাংকটির লোকসান কমে অর্ধেক হয়েছে। আগের বছর লোকসান ছিল শেয়ার প্রতি ৬৪ পয়সা।
গত চার বছরের মধ্যে ব্যাংকটির লোকসান এবার সবচেয়ে কম হয়েছে। ২০১৮ সালে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৭৩ পয়সা, ২০১৭ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে শেয়ারের লাভ লোকসানের কোনো হিসাব দেয়া নেই। ২০১৬ সালে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৪১ পয়সা।
কেবল ২০১৫ সালে চলতি বছরের চেয়ে কম লোকসান দিয়েছে ব্যাংকটি। ওই বছর শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ২১ পয়সা।
১৯৯০ সালে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটি পুঁজিবাজারে একমাত্র ব্যাংক, যেটি জেড ক্যাটাগরির। কোনো প্রতিষ্ঠান লভ্যাংশ না দিলে বা নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা না করলে সেটি জেড ক্যাটাগরিতে থাকে।
চলতি বছর যেসব ব্যাংক লভ্যাংশ সংক্রান্ত সভা করেছে, তার মধ্যে এটিই প্রথম ব্যাংক যারা কোনো লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারছে না।
বর্তমানে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৪ টাকায়।
আগামী ১৩ জুলাই ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ মে।