ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফিন্যান্স ঘোষিত ৩৫ শতাংশ, নয় শেয়ারধারীদেরকে লভ্যাংশ দেবে ২০ শতাংশ, যদিও তাদের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ দেয়ার সুযোগ ছিল।
শেয়ার প্রতি সাড়ে তিন টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিল দেড় টাকার বেশি লভ্যাংশ দেয়া যাবে না। বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমে তাই এই লভ্যাংশ কমিয়ে দেড় টাকা করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সুযোগ দিয়েছিল, সেটি না দিয়ে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার চূড়ান্ত হয়েছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ার ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে ৩১ মার্চ এজিএমের তারিখ দেয়। কোনো কোম্পানির লভ্যাংশ চূড়ান্ত হয় এই এজিএমে।
আরও পড়ুন: মহামারির বছরে আইডিএলসির আয় দেড়গুণ, লভ্যাংশ ৩৫%
তবে আইডিএলসি এই লভ্যাংশ দিতে পারবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক আদেশে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান যত মুনাফাই করুক না কেন, ১৫ শতাংশের বেশি নগদ লভ্যাংশ দিতে পারবে না।
এই আদেশ দেয়ার পর আর্থিক খাতের সব প্রতিষ্ঠান দর হারাতে থাকলে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন আদেশ পর্যালোচনার অনুরোধ করে। আর ১৫ মার্চ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকে ঠিক হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই পরিমাণ নগদের পাশাপাশি বোনাস শেয়ারও দিতে পারবে।
পরে ২২ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরেক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ার প্রতি দেড় টাকা নগদের পাশাপাশি আরও ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিতে পারবে।
এই আদেশ জারির পর আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং এই সর্বোচ্চ পরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণা করে যদিও তারা করোনার বছরে আগের বছরের চেয়ে কম আয় করেছে।
আইডিএলসি অবশ্য করোনার বছরে আগের বছরের চেয়ে আয় বেশি করেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬ টাকা ৭৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৪ টাকা ৫১ পয়সা।
৩৭৭ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ৩৭ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ৭৮০টি। এই হিসাবে কোম্পানিটি কর পরবর্তী আয় করেছে ২৫৪ কোটি ১৩ লাখ ২২ হাজার টাকারও বেশি আয় করেছে। আগের বছর তাদের কর পরবর্তী মুনাফা ছিল ১৭০ কোটি পাঁচ লাখ টাকার মতো।
কোম্পানির বর্তমান রিজার্ভ আছে ৮৬০ কোটি টাকা। চলতি বছরের আয় থেকে যোগ হলে সেটি এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।