মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ফাঁকির অভিযোগে রাজধানীর শেফ’স টেবিল ফুডকোর্টে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
সংস্থার সহকারী পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালীনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম সোমবার এ অভিযান চালায়। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির কম্পিউটারসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক দলিলাদি জব্দ করা হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, প্রতিষ্ঠানটি যে পরিমাণ বিক্রি করে তার চেয়ে অনেক কম দেখিয়েছে মাসিক ভ্যাট রিটার্নে। প্রকৃত বিক্রির তথ্য গোপন করে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে তারা।
প্রাথমিক তদন্তে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়া গেছে। অধিকতর তদন্তে আরও মূসক ফাঁকি ধরা পড়বে বলে জানান গোয়েন্দারা।
ভ্যাট গোয়েন্দা কার্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শেফ'স টেবিল ইউনাইটেড গ্রুপের একটি ফুডকোর্ট। এটি সাতারকুলের মাদানি এভিনিউয়ে ইউনাইটেড সিটিতে অবস্থিত।
শেফ'স ফুডকোর্টের ৩৬টি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। অভিযান চলাকালে সবগুলোতে ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পান গোয়েন্দারা।
ভ্যাট নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান নিউজবাংলাকে বলেন, শেফ’স ফুডকোর্টের আওতায় রেস্টুরেন্টগুলো খাবার বিক্রির সময়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করলেও সরকারি কোষাগারে ঠিকমতো জমা দেয়নি।
প্রকৃত তথ্য গোপন করে ভ্যাট ফাঁকি দেয়া আইনত অপরাধ। এ অভিযোগে আইন অনুযায়ী প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা হবে।
রাজধানীর ভোজনরসিকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় শেফ’স ফুডকোর্ট। এটি চালু হয় ২০১৯-এর ডিসেম্বরে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত ১৩ মাসে মোট বিক্রয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৪ কোটি টাকা। অথচ রিটার্নে দেখানো হয় মাত্র ৩ কোটি টাকা। প্রকৃত তথ্য গোপন করায় ভ্যাট ফাঁকি হয় ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
ভ্যাট গোয়েন্দা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, অধিকতর তদন্তে আরও কর ফাঁকির তথ্য বের হবে। এর পরই মামলা করা হবে।