বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কর্মসংস্থানে ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

  •    
  • ২৭ মার্চ, ২০২১ ১৯:১২

৫ বছর গ্রেসসহ ৩০ বছরে স্বল্প সুদে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে। করোনার সংক্রমণ শুরুর পর এক বছরে চলমান কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে এ নিয়ে মোট ৭৫ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এরই মধ্যে দুই কিস্তির টাকা ছাড় করেছে সংস্থাটি।

করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার সমপরিমাণ ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা ঋণ দেবে ওয়াশিংটনভিত্তিক বহুজাতিক ঋণদানকারি সংস্থা বিশ্বব্যাংক।

সংস্থার বোর্ড সভায় এ ঋণ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। শিগগিরই এ বিষয়ে দুই পক্ষের চুক্তি সই হবে।

শনিবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

চলমান ‘উন্নয়ন নীতি ও কর্মসংস্থান কর্মসূচির’ আওতায় এই অর্থ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক, যার মাধ্যমে করোনায় অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত তরুণ, নারীসহ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর মানসম্মত কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।

৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে স্বল্প সুদে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে। করোনার সংক্রমণ শুরুর পর গত এক বছরে চলমান কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে এ নিয়ে মোট ৭৫ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীর সবচেয়ে বড় অংশীদার বিশ্বব্যাংক। এরই মধ্যে দুই কিস্তির টাকা ছাড় করেছে সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বোন বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল লক্ষ্য হচ্ছে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যথেষ্ট শক্তিশালী হলেও কমে গেছে কর্মসংস্থানের গতি, বিশেষ করে উৎপাদনশীল খাতের। কভিড-১৯ এর কারণে ঝুঁকি আরও বেড়ে গেছে। এর অভিঘাত বেশি পড়েছে গরিব ও নারীদের ওপর।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, করোনার কারণে বাংলাদেশে অনেক লোক চাকরিচ্যুত হয়েছে। কাজ হারিয়েছে শ্রমিকরা। অনানুষ্ঠানিক খাতের অসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে।

এই অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে, যাতে শ্রমিকরা তাদের কাজ ফিরে পান। ফলে তাদের আয়-রোজগারের পথ তৈরি হবে এবং দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে অর্থনীতি।

চলমান কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৫০ লাখ লোকের চাকরি সুরক্ষা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। এ ছাড়া দেশটির ব্যবসা–বাণিজ্যে গতি বাড়াবে, খরচ কমাবে ও শ্রম বাজার চাঙা করবে বলে মনে করে সংস্থাটি।

এ বিভাগের আরো খবর