দেশের সংবাদপত্র শিল্পের সুরক্ষায় আসন্ন বাজেটে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সংবাদপত্র শিল্পের মালিকরা।
বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানায় সংবাদপত্র শিল্পের মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (নোয়াব)।
ভার্চুয়াল এ আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
নোয়াব নেতারা বলেন, সংবাদপত্রকে সরকার শিল্প হিসেবে ঘোষণা দিলেও অন্যান্য শিল্প খাতের মতো সুবিধা এটি পাচ্ছে না। একটি সেবাধর্মী শিল্প হলেও কাঁচামালে উচ্চহারে শুল্ক আরোপের কারণে এর টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
করোনায় সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যা ও বিজ্ঞাপন কমে যাওয়ায় বর্তমানে এ শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানান তারা।
নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ সংবাদপত্র শিল্পের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, নিউজপ্রিন্টসহ এ খাতে সবমিলিয়ে শুল্ক ও করের পরিমাণ মোট ৩০ শতাংশ। এর মধ্যে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর এবং ৫ শতাংশ আগাম ভ্যাট রয়েছে।
এত বেশি করারোপের ফলে এ শিল্পের খরচ অস্বাভাবিক বেশি। এ অবস্থায় সংবাদপত্র শিল্পকে বাঁচাতে আসন্ন বাজেটে সম্পূর্ণ শুল্ক ও কর প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
নোয়াবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, সংবাদপত্র একটি সেবামূলক শিল্প। অন্যান্য শিল্পের কাঁচামালে শুল্কহার কম হলেও এ খাতের জন্য বেশি ধার্য করা হয়েছে। আবার কর্পোরেট করহারও বেশি। এ শিল্পের সুরক্ষায় এসব কর কমানোর প্রস্তাব করেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘শুধু রাজস্ব আহরণ নয়, দেশীয় শিল্প সুরক্ষার দিকেও নজর দেয়া সরকারের দায়িত্ব।’ নোয়াবের প্রস্তাসমূহ পর্যালোচনা করে সক্রিয় বিবেচনার আশ্বাস দেন তিনি।
অ্যাটকোর সঙ্গে মতবিনিময়
একই আলোচনায় অংশ নিয়ে টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাটকোর সভাপতি মোজাম্মেল বাবু সংবাদপত্রের মতো টেলিভিশন চ্যানেলকেও শিল্প ঘোষণার দাবি জানান। ক্যাবল টিভি (ডিস সংযোগ) সেবাদানকারীদের কাছ থেকে সঠিকভাবে ভ্যাট আদায় হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। রাজস্ব ফাঁকি বন্ধে তিনি আগামী বাজেটে এ বিষয়ে ব্যবস্থার নেয়ার দাবি জানান।