জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দুই শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।
বুধবার ভার্চুয়াল এই মত বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে পিকেএসএফ-এর আওতায় পরিচালিত ‘সমৃদ্ধি’ কর্মসূচিভুক্ত ২০১টি ইউনিয়নের ২০১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন।
পিকেএসএফ হচ্ছে সরকারের সহযোগী একটি সংস্থা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে সরকার গত ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করছে।
পিকেএসএফও এ সময়ে নানা কর্মসূচি পালন করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ভার্চুয়াল মতবিনিময় তারই ধারাবাহিকতা। বীর মুক্তিযোদ্ধারা ছাড়াও এতে অংশ নেন পিকেএসএফ-এর পর্ষদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সহযোগী সংস্থাসমূহের নির্বাহী পরিচালক ও কর্মীরা।
পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ২০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, যুদ্ধকালীন ঘটনা ও বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ও জীবন দর্শনমূলক নানা স্মৃতিকথা তুলে ধরেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর পর্ষদ সদস্য সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরিজিৎ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা এবং ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপারসন পারভীন মাহমুদ।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কেবলমাত্র আলোচনাতে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। যা বলা হয় বা আলোচনা হয় সেগুলো মনে-প্রাণে বিশ্বাস এবং ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি তা বাস্তবায়নেও সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
স্বাগত বক্তব্যে পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘একই সময়ে জাতির পিতার ও জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সুযোগ পাওয়া আমাদের বিরল সৌভাগ্য।’
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পিকেএসএফ-এর আরেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জসীম উদ্দিন। তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে পিকেএসএফ-এর গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি সবাইকে অবহিত করেন।