বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবারও ঋণখেলাপি না হওয়ার সুবিধা

  •    
  • ২৪ মার্চ, ২০২১ ২০:০১

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের অনাদায়ী সুদ শোধ হলে ও ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সুদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শোধ করলে এসব ঋণ ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবে না।

করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ বিবেচনায় ঋণ পরিশোধে গ্রাহকদের বাড়তি সময় দিতে ব্যাংকগুলোর উদ্দেশে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, যেসব ঋণের মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এবং প্রচলিত নীতির আওতায় ব্যাংকে নবায়ন হয়নি সেসব ঋণের গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনাদায়ী সুদ ছয়টি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। এ জন্য সময় থাকবে চলতি মার্চ মাস থেকে ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত।

করোনা মহামারিতে সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ঋণগ্রহীতাদের চাপ কমাতে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধের ওপর বিশেষ ছাড় দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এই এক বছর কিস্তি না দিলেও কোনো গ্রাহক খেলাপি হননি। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ ছাড় তুলে নেয়া হয়েছিল।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের অনাদায়ী সুদ শোধ হলে ও ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সুদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শোধ করলে এসব ঋণ ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবে না।

তলবি ঋণের ক্ষেত্রে চলতি মার্চ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আটটি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে শোধ করা যাবে। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে কিস্তি পরিশোধ করে এসব ঋণ শ্রেণিকরণ করা যাবে না।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এ নিয়মে কোনো ত্রৈমাসিকে কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে এ সুবিধা বাতিল হবে। তখন নিয়ম অনুযায়ী ঋণ বা বিনিয়োগ শ্রেণিকরণ করতে হবে।

তবে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় দেয়া ঋণের ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এ ছাড়া বাইরের দেশেও করোনার নেতিবাচক প্রভাব বাড়ায় রপ্তানি বাণিজ্য কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নতুন করে মহামারির প্রভাব মোকাবিলা এবং একই সঙ্গে ব্যাংকিং খাতে ঋণ প্রবাহের ধারা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করতে চলমান ও তলবি প্রকৃতির ঋণ বা বিনিয়োগের জন্য এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ঋণগ্রহীতাদের সুরক্ষা দিতে ২০২০ সালের এপ্রিলে ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতায় স্থগিতাদেশ দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করে জানায়, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণিমানে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। এরপর এ ছাড়ের মেয়াদ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে তৃতীয় দফায় এ সুযোগ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর