বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে আরও কঠোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২১ ২৩:২৬

‘সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু হার গত কয়েক মাসের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এমতাবস্থায়, সংক্রমণ রোধে ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের আবশ্যকীয়ভাবে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সব ব্যাংককে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু হার গত কয়েক মাসের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এমতাবস্থায়, সংক্রমণ রোধে ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের আবশ্যকীয়ভাবে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে।’

শাখা বা আঞ্চলিক কার্যালয়ে মাস্ক পরিধানসহ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহক পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না সে বিষয়ে তদারকি নিশ্চিতেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি পালন সংক্রান্ত আগের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দেয়া হয়।

আগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংক খোলার আগে মহামারিপ্রতিরোধী সামগ্রী যেমন মাস্ক, জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হবে। আপৎকালীন পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আপৎকালীন সংক্রমিত বস্তুর ডিসপোজাল এলাকা স্থাপন, সব ইউনিটের জবাবদিহি নিশ্চিত, কর্মীদের প্রশিক্ষণ জোরদার ও স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রতিদিন কর্মীদের স্বাস্থ্যবিষয়ক ব্যবস্থা নথিভুক্ত করার পাশাপাশি যারা অসুস্থ অনুভব করবেন, তাদের সঠিক সময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

ব্যাংকের প্রবেশমুখে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণকারী যন্ত্র স্থাপন বা তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শুধু স্বাভাবিক তাপমাত্রার ব্যক্তিদের ঢুকতে দিতে হবে।

ব্যাংকের ভেতরে বায়ু চলাচল বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপযন্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে যন্ত্রের স্বাভাবিক ক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে। বিশুদ্ধ বাতাস বৃদ্ধি এবং এয়ারসিস্টেমের ফিরে আসা বাতাসকে বন্ধ রাখতে হবে।

সবার ব্যবহার্য সুবিধাগুলো (যেমন কিউইং মেশিন, কাউন্টার, চিফার মেশিন, রোলার পেন, ক্যাশ কাউন্টার, এটিএম, জনসাধারণের বসার জায়গা ইত্যাদি) নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

জনসাধারণের চলাচলের এলাকা যেমন ব্যাংকিং লবি, এলিভেটর এবং তথ্যকেন্দ্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং ময়লা সময়মতো পরিষ্কার করতে হবে।

এটিএমে প্রবেশ করার লাইনে দাঁড়ানোর বা ব্যবহারের সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য লাইনে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

ব্যবসায়িক কাজে ব্যাংকে আসা মানুষের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কথাও বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতিদিনের ব্যবসায়িক কাজের জন্য ই-ব্যাংকিং অথবা এটিএম ব্যবহারের পরামর্শ দিতে হবে।

এতে ব্যাংক স্টাফদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদারের পাশাপাশি সবার মাস্ক পরা নিশ্চিতের নির্দেশ দেয়া হয়। ব্যাংকে আগত সবাই যাতে মাস্ক পরেন, সেটিও নিশ্চিত করতে বলা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া যায়, তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে ব্যাংকে জীবাণুমুক্তকরণ কার্যক্রম চালাতে হবে এবং একই সঙ্গে এয়ার কন্ডিশনিং ও ভেন্টিলেশন সিস্টেমকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ব্যাংকগুলোকে তাদের সেবার সময় সংক্ষিপ্ত করতে ও আগত লোকের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার কথাও বলা হয় প্রজ্ঞাপনে।

এ বিভাগের আরো খবর