বিশ্বে এক শতাংশ মানুষের কাছে যে পরিমাণ সম্পদ রয়েছে, তা বাকি ৯৯ শতাংশের চেয়ে বেশি।
আন্তর্জাতিক এনজিও অক্সফামের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। আর এ বৈষম্যের মূল কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, পিরামিডের নিচে থাকা মানুষের জন্য সমান অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব।
সৌভাগ্যক্রমে, গত কয়েক বছরে ডিজিটাল প্রযুক্তি পিরামিডের নিচের দিকে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং খুচরা বিক্রেতাদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সমতা আনার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে জাতিসংঘ ক্যাপিটাল ডিভেলপমেন্ট ফান্ড (ইউএনসিডিএফ) আয়োজিত ‘লিভিং নো মাইক্রো মার্চেন্টস বিহাইন্ড ইন দ্য ডিজিটাল এরা ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পসচিব কেএম আলী আজম।
সম্মেলনে বলা হয়, বৈষম্য কমাতে সরকার, উন্নয়ন অংশীদার এবং বেসরকারি খাতের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ সত্ত্বেও কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে, যা দ্রুত চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এসব প্রতিবন্ধকতার মধ্যে রয়েছে খুচরা ব্যবসায় সব লিঙ্গের মানুষের অংশগ্রহণ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আর্থিক এবং অ-আর্থিক উভয় ধরনের প্রয়োজন শনাক্তে ডিজিটাল মাধ্যমের ব্যবহার, বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সাপ্লাই চেইনের সমন্বয়, আনুষ্ঠানিকীকরণের ক্ষেত্রে নীতিগত উদ্যোগ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সুবিধায় বৈশ্বিক মহামারির ক্ষতি থেকে উত্তরণে সহায়তা প্রক্রিয়া।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘২০১৭ সালে এউএনসিডিএফের অধীনে বাস্তবায়িত এমডিডিআরএম প্রকল্পের যাত্রা শুরুর পর বাংলাদেশে মাইক্রো-রিটেইল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে। যার ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আমাদের অর্থনীতির কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।’
নীতিনির্ধারক এবং বেসরকারি খাতের অংশীদারদের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ হওয়া উচিত ত্বরান্বিত এ ডিজিটালাইজেশনের প্রবণতার ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাওয়া। এই প্রয়াসের সমর্থনে জাতিসংঘ ক্যাপিটাল ডিভেলপমেন্ট ফান্ড (ইউএনসিডিএফ) ২০১৭ সাল থেকে এমডিডিআরএম (মার্চেন্টস ডিভেলপমেন্ট ড্রাইভিং রুরাল মার্কেটস) নামক উদ্যোগটি চালিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশে দুই কোটি খুচরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। এই উদ্যোগে অর্থায়ন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ডিনেট, বিডিএমএস এবং এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে এটি আয়ের বৈচিত্র্য, ব্যবসা প্রবৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনকে উৎসাহ দিতে কাজ করছে।