বছরের শুরু থেকেই রাজধানীর বাজারগুলোতে চড়তে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। টানা দুই সপ্তাহ দাম বেড়ে মুরগি এখন নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের প্রায় বাইরে।
অথচ দু্ই মাস আগে প্রতি ব্রয়লার মুরগির দাম ১১৫ থেকে ১২০ টাকা ছিল, তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। পাকিস্তানি কক মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৭০ টাকা পর্যন্ত।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম এখন ১৬৫ টাকা। গত বছরের এই সময়ে দাম ছিল ১৩০ টাকা। দেশি মুরগির দাম এখন আগের মতোই ৪৫০ টাকা রয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা।
দামের দিক থেকে ব্রয়লার মুরগির থেকেও দ্রুত গতিতে ছুটছে পাকিস্তানি সোনালি বা কক মুরগি। গত সপ্তাহে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৭০ টাকা।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) সভাপতি মশিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, খামার পর্যায়ে দাম বাড়ার কারণে বাজারে তার প্রভাব পড়ছে।
তিনি বলেন, খামার পর্যায়ে এখন পোল্ট্রির মুরগির দাম পড়ছে ১২০ টাকা। সেখান থেকে মধ্যস্বত্বভোগী ও খুচরা পর্যায়ে যেতে যেতে দাম বেড়ে যাচ্ছে। করোনার কারণে কিছু ফার্ম বন্ধ হয়ে যায়। তার প্রভাবও পড়ছে।
বাচ্চা সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, বাচ্চা মুরগির সংকট আছে। এর উৎপাদনের গতি মন্থর। আশা করা যায়, আগামী ১০ -১৫ দিনের মধ্যে বর্তমানে দামের যে ঊর্ধ্ব গতি সেটি কেটে যাবে।
তবে বাজার বিশেষজ্ঞরা জানান, মূলত কিছু ব্রিডিং ফার্মের কাছে এই শিল্প এখন জিম্মি। এ কারণে এখানে দামের তারতম্য হচ্ছে। প্রান্তিক খামারিদের জন্য এখন ব্যবসা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।