বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফার্স্ট ফাইন্যান্সের বিস্ময়

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২১ ১৯:২৪

জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০১৯ সময় পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩ টাকার বেশি। সেখানে থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে লাভে ফিরে লভ্যাংশ দিলো বিনিয়োগকারীদের।

প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান তিন টাকার ওপরে। কিন্তু বছর শেষে লাভ। এমন চমক দেখিয়ে শেয়ার হোল্ডারদের ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেড।

আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির এই প্রতিষ্ঠানটির ২০১৫ সাল পর্যন্ত তথ্য পাওয়া গেছে ডিএসই ওয়েবসাইটে। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল দশমিক ০৮ পয়সা।

জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০১৯ সময় পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩ টাকার বেশি। সেখানে থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে লাভে ফিরে লভ্যাংশ দিলো বিনিয়োগকারীদের।

এমন লভ্যাংশের খবরে মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর ছিল দিনে সর্বোচ্চ। লেনদেনে ৬ টাকা শেয়ার ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ দর বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা ২০ পয়সা।

লভ্যাংশ দিয়েছে শুধু বোনাস

প্রতিষ্ঠানটি শুধু বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে শেয়ার সংখ্যা বাড়িয়েছে। তবে ২০১৩ সালে রাইট ইস্যুর মাধ্যমেও মূলধন সংগ্রহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এরমধ্যে ২০১৪ সালে ৫ শতাংশ, ২০১৩ সালে ১০ শতাংশ, ২০১২ সালে ২৫ শতাংশ, ২০১১ সালে ২০ শতাংশ, ২০১০ সালে ২৫ শতাংশ, ২০০৯ সালে ৭৫ শতাংশ, ২০০৮ সালে ১০ শতাংশ, ২০০৭ সালে ২০ মতাংশ, ২০০৬ সালে ২০ শতাংশ, ২০০৫ সালে ২০ শতাংশ, ২০০৪ সালে ১০ এবং ২০০৩ সালে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে শেয়ারহোল্ডারদের।

এছাড়া ২০১৩ সালে দুটি শেয়ারের বিপরীতে একটি শেয়ার রাইট হিসেবে দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি মূলধন বৃদ্ধি করেছে।

মুনাফা যখন প্রতিষ্ঠানের উন্নতির লক্ষ্যে ব্যবহার করা হয় তখন লভ্যাংশ হিসেবে যে অর্থ বণ্টন করার কথা সেটিকে শেয়ারে রূপান্তর করে বোনাস হিসাবে তা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে দেয়া হয়। কিন্তু ফার্স্ট ফাইনান্সের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে মুলধন বৃদ্ধি করলেও প্রতিষ্ঠানের দূরাবস্থা কাটেনি। পরে আছে জেড ক্যাটাগরিতে।

আর্থিক স্বাস্থ্য

২০১৯ শেষে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১৬ পয়সা, সেখানে আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৩ টাকা ৪৯ পয়সা। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি যখন তাদের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ করেছিল তখনও লোকসান ছিল।

বলা হয়েছিল জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৯ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ১৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা। জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ১৯ সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩ টাকা ২৯ পয়সা, সেখানে আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৩ টাকা ১৬ পয়সা।

লোকসান থেকে কীভাবে লাভে ফিরেছে প্রতিষ্ঠানিটি সে বিষয়টি জানতে কয়েকবার প্রতিষ্ঠানের সচিব শাজাহান আলীকে ফোন ও ম্যাসেস করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডাররা ঘোষিত লভ্যাংশ পেতে আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত শেয়ার ধরে রাখতে হবে। আগামী ৬ মে ডিজিটাল প্লাটফর্মে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সাধারণ সভা-এজিএম অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিভাগের আরো খবর