বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৭৭ শতাংশ কোম্পানি রিটার্ন দাখিল করে না

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২১ ২১:৩১

সকল কোম্পানিকে করের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর। এ জন্য একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে।

ব্যক্তির পাশাপাশি দেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির কর দেয়ার সংস্কৃতিও সন্তোষজনক নয়। দেশে যে সংখ্যক কোম্পানি রয়েছে, তার ক্ষুদ্র একটি অংশ সরকারকে কর পরিশোধ করে। আবার নিবন্ধনের বড় একটি অংশই করের আওতার বাইরে এখনও।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর বা আরজেএসসি-এর সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাবলিক ও প্রাইভেট মিলে দেশে নিবন্ধিত কোম্পানির সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৪৬ হাজার।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরিসংখ্যান বলছে, এর মধ্যে এক লাখ ৩৫ হাজার কোম্পানির ট্যাক্স পেয়ার আইডেনটিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) আছে। অর্থাৎ ৪৫ শতাংশই করের আওতার বাইরে।

আরও হতাশাজনক তথ্য হচ্ছে: যে সব প্রতিষ্ঠানের টিআইএন আছে, তাদের বেশির ভাগই বার্ষিক আয় বিবরণী বা রিটার্ন দাখিল করে না। অথচ আইনে প্রত্যেক কোম্পানির রিটার্ন দাখিল করার বাধ্যবাধকতা আছে।

এনবিআরের সর্বশেষ হিসাবে গত বছর মাত্র ৩০ হাজার কোম্পানি রিটার্ন দাখিল করেছে। সে হিসাবে, ৭৭ শতাংশ কোম্পানিই রিটার্ন দাখিল করেনি।

এ পরিস্থিতিতে আরজেসির তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানিকে করের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, যোগ্য সকল প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনার জন্য টাস্কফোর্স কাজ করছে।

এরই মধ্যে ৫৭ হাজার প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে টিআইএন দেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী এক বছরের মধ্যে সবাইকে করের আওতায় আনা যাবে। তখন রিটার্নের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।

ব্যক্তি ও কোম্পানি উভয়ই তাদের আয়ের উপর কর দেয় সরকারকে। ব্যক্তিকরদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা থাকলেও কোম্পানির ক্ষেত্রে তা নেই। কোম্পানি বার্ষিক মুনাফার উপর প্রযোজ্য হারে কর পরিশোধ করে ।

আমাদের দেশে কোম্পানি করদাতার সংখ্যা কম হলেও তারা ব্যক্তির চেয়ে বেশি কর দেয়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোট করদাতার মাত্র ২ শতাংশ হচ্ছে কোম্পানি করদাতা। এরাই মোট আয়করের ৬৫ শতাংশ প্রদান করে।

বর্তমানে ব্যক্তি এবং কোম্পানি মিলে মোট করদাতার সংখ্যা প্রায় ২২ লাখ । ছয়টি স্তরে কোম্পানি কর দেয়। সর্বনিম্ম করহার ২৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৪৫ শতাংশ।

অভিযোগ রয়েছে, দেশে কোম্পানিগুলো বড় অঙ্কের কর ফাঁকি দেয়। বিশেষজ্ঞেরা বলেন, এর প্রধান কারণ ভুয়া অডিট রিপোর্ট। সরকারকে আয় কম দেখানোর জন্য একটি কোম্পানি একাধিক রির্পোট তৈরি করে, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আবার দেখা যায়, ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে কোম্পানির সম্পদ বেশি দেখানোর জন্য অডিট রিপোর্ট তৈরি করা হয়। নজরদারি না থাকায় অনেক কোম্পানি নানা অনিয়ম-জালিয়াতি করে তাদের প্রদর্শিত আয়কর রিটার্নে প্রকৃত আয় গোপন করে কর ফাঁকি দেয়। যে কারণে এ খাত থেকে প্রত্যাশিত কর পাচ্ছে না সরকার।

দীর্ঘ সময় ধরে এ ধরনের অনিয়ম চলে আসার পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানি খাতে কর ব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এনবিআর। তারই অংশ হিসেবে গত বছরের আগস্টে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।

ভুয়া অডিট রিপোর্ট বন্ধে কাজ করছে কমিটি। একই সঙ্গে যে সব প্রতিষ্ঠানের টিআইএন নেই, তাদের নিবন্ধন করা হচ্ছে।

এনবিআর কর্মকর্তা বলেন, ভুয়া অডিট রিপোর্ট বন্ধ এবং সবাইকে কর জালে আনতে পারলে এ খাতে বছরে ‘’বাড়তি’’ দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার কর আহরণ সম্ভব।

এ বিভাগের আরো খবর