বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এফডিআরের চেয়ে বেশি লাভ সিটির শেয়ারেও, সঙ্গে বোনাস

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২১ ২০:০১

শেয়ার প্রতি এক টাকা ৭৫ পয়সা নগদ ও প্রতি ২০টি শেয়ারে একটি বোনাস হিসেবে দেয়ার প্রস্তাব করেছে সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। সোমবারের বাজারদরের ভিত্তিতে ব্যাংকটির এই নগদ লভ্যাংশের ইল্ড ৭.৭৭ শতাংশ। যা ব্যাংকের সুদহারের চেয়ে বেশি। এর আগে এফডিআররে সুদহারের চেয়ে বেশি হারে নগদ (ইল্ড) লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে মার্কেন্টাইল ও প্রিমিয়ার ব্যাংক।

মহামারিকালে আয় যেমন বেশি করেছে, তেমনি ব্যাংকে যে কোনো সঞ্চয়ী স্কিম বা এফডিআরের সুদহারের চেয়ে বেশি হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিটি ব্যাংক।

সোমবার ২৫ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ারধারীরা ১ টাকা ৭৫ পয়সা নগদ এবং প্রতি ২০টি শেয়ারে একটি বোনাস হিসেবে পেতে যাচ্ছেন।

অর্থাৎ বাজারমূল্যের ৭.৭৭ শতাংশ শেয়ারধারীরা লভ্যাংশ হিসেবে পেতে যাচ্ছেন। এর সঙ্গে যে বোনাস শেয়ার দেয়া হবে, সেটি অবশ্য রেকর্ড ডেটের পর দামের সঙ্গে সমন্বয় হবে।

বর্তমানে ব্যাংকে টাকা রাখলে ৪ থেকে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে ব্যাংকগুলো যে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করছে, তাতে ব্যাংকগুলোর শেয়ার দরের তুলনায় (ইল্ড) এর চেয়ে বেশি হারে নগদ মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে।

বিকালে সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানি সচিব কাফি খান।

তিনি জানান, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ২৯ পয়সা। এটি গত বছরের আয়ের চেয়ে বেশি। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি আয় ছির ২ টাকা ৫৯ পয়সা।

এই লভ্যাংশ যারা নিতে চান, তাদেরকে আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত শেয়ার ধরে রাখতে হবে। আগামী ১৭ মে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমে লভ্যাংশ চূড়ান্ত হবে। করোনাকালে এই আয়োজন হবে ডিজিটাল প্লাটফর্মে।

ব্যাংকটি আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লভ্যাংশ দেড় গুণ করল। গত বছর ১৫ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি দেড় টাকা নগদে বিতরণ করা হয়েছিল শেয়ারধারীদের মধ্যে।

এর আগে মার্কের্টাইল ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক এফডিআরের সুদহারের চেয়ে বেশি হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

করোনার বছরে ব্যাংকগুলোর আয় ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছর শেষে অনানুষ্ঠানিক তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাংকের মুনাফার যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় তাতে দেখা যায় বেশিরভাগ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা কমে গেছে।

প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী একটি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ৪১ শতাংশ, একটির ৩০ শতাংশ, একটির ৩৩ শতাংশ, একটির ২৫ শতাংশ কমেছে। তবে সিটি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা কত হয়েছে, সেটি সে সময় জানা যায়নি।

অবশ্য পরিচালন মুনাফা থেকে খেলাপি ঋণের জন্য সঞ্চিতি সংরক্ষণ ছাড়াও আয়কর বাদ দিয়ে হিসাব করা হয় চূড়ান্ত মুনাফা।

করোনার বছরে ঋণের কিস্তি আদায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছাড় দিয়েছে। আর এ কারণে ব্যাংকগুলোর সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়েছে কম।

যে কারণে ডাচ বাংলা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ৯০ কোটি কাটা বা ৮ শতাংশ কমলেও চূড়ান্ত মুনাফা বাড়ে ২৭ শতাংশ। এই প্রতিষ্ঠানটি গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

ডাচ বাংলার শেয়ারধারীরা এবার নগদ দেড় টাকা আর ১৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি ১০০টি শেয়ারে ১৫টি বোনাস হিসেবে পাবেন।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ৩৩ শতাংশ বা ২০০ কোটি টাকা কমলেও চূড়ান্ত মুনাফা বাড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ। এই ব্যাংকটি আগের বছরের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এই ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি ৭০ পয়সা এবং প্রতি ২০টি শেয়ারে একটি বোনাস হিসেবে পাবেন।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ৩০৩ কোটি বা ৪০ শতাংশ কমলেও চূড়ান্ত মুনাফা গত বছরের সমান হয়। এই ব্যাংকটি গত বছরের চেয়ে শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা কম লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এই ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি এক টাকা নগদ ও প্রতি ২০টি শেয়ারে একটি বোনাস হিসেবে পাবেন।

ব্যাংক এশিয়ার পরিচালন মুনাফা ২৪০ কোটি বা ২৫ শতাংশ কমলেও চূড়ান্ত মুনাফা বাড়ে ৫ শতাংশের মতো। এই ব্যাংকটি গত বছরের সমান লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এই ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি এক টাকা নগদ পাবেন লভ্যাংশ হিসেবে।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ১০ কোটি বা ২ শতাংশ বাড়লেও চূড়ান্ত মুনাফা ৩০ শতাংশের বেশি কমে যায়। এই ব্যাংকটি গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এই ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা নগদ ও প্রতি ৪০টি শেয়ারে তিনটি বোনাস হিসেবে পাবেন।

এ বিভাগের আরো খবর