বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘অর্থনীতির দুর্বল দিক খুঁজে বের করুন’

  •    
  • ২১ মার্চ, ২০২১ ২০:২০

অর্থমন্ত্রী বলেন, মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু এখনও আমাদের পথ-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের ভৌগোলিক মুক্তি দিয়েছেন, এখন আমরা তার দেখানো পথেই অর্থনৈতিক মুক্তি পেয়েছি। বিশ্বাস, আস্থা ও অর্জনের মাসে আমাদের শপথ হোক এগিয়ে যাওয়ার।

দেশকে এগিয়ে নিতে অর্থনীতির দুর্বল দিক শনাক্ত করে তা নিয়ে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, ‘অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তরুণদের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পৌঁছে দিতে হবে’।

বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মুজিব কর্নার স্থাপনের আহ্বান জানান তিনি।

রোববার জনতা ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে তৈরি মুজিব কর্নার ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আব্দুস ছালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এস এম মাহফুজুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মুজিব কর্নারে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, তার অমর বাণী, ৬ দফা, তার ব্যবহারের জিনিস, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের নামকরণ ইত্যাদি স্থান পেয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জনমিতি লভ্যাংশের সুবিধা পেতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ২৫ বছরের নিচে। তাই তরুণ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।’

আ হ ম মুস্তফা কামাল আরও বলেন, ‘মার্চ আমাদের আস্থার, অর্জনের ও বিশ্বাসের মাস। এ মাসে জাতির পিতার জন্ম, এ মাসে আমরা এলডিসি থেকে উত্তরণ সম্পন্ন করেছি। এ মাসে জাতির পিতা ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, যা বিশ্বে সর্বকালের সেরা ভাষণ।’

তিনি বলেন, ‘মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু এখনও আমাদের পথ-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের ভৌগোলিক মুক্তি দিয়েছেন, এখন আমরা তার দেখানো পথেই অর্থনৈতিক মুক্তি পেয়েছি। বিশ্বাস, আস্থা ও অর্জনের মাসে আমাদের শপথ হোক এগিয়ে যাওয়ার।’

‘মুজিব কর্নার’ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে বলেও জানান মন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জনতা ব্যাংকের ব্যালেন্স সিট আশাব্যঞ্জক নয়। জনতা হোক জনতার, এ মাসে আমাদের শপথ হোক আয় বাড়ানোর, অপচয় ও দুর্নীতি কমানোর।’

গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির ভাষণ। অনেকে ভুল করে বলেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ বঙ্গবন্ধু। কিন্তু বাস্তবে তিনি হাজার নয়, ‘সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’।

তিনি বলেন, জাতির পিতার দেয়া নাম জনতা ব্যাংক। এ ব্যাংককে হতে হবে জনতার, এজন্য আরও কাজ করতে হবে।’

গভর্নর বলেন, ‘জনতা ব্যাংককে মূলধন ঘাটতির দিকে নজর দিতে হবে, যথাযথ মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে। খেলাপি ঋণের বিষয়ে খেয়াল করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘জনতা ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ ২০ শতাংশ বেড়েছে। ঋণ বিতরণও বেড়েছে কিন্তু আরও বাড়াতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া প্রণোদনার বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও এসএমই ঋণদানে আরও অবদান রাখতে হবে।’

সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘আর্থিক খাতে বঙ্গবন্ধুর সংশ্লিষ্টতা অনেক বেশি ছিল। সরকারি চারটি ব্যাংকের নামকরণ তিনি করেছিলেন। প্রত্যেকটি নামের অর্থ তাৎপর্যপূর্ণ। মুজিব কর্নার শুধু নামে নয়, এটা ধারণ করতে হবে। নতুন যারা ব্যাংকে যোগদান করবে তারাও যেন অনুপ্রেরণা পায়।

তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে অনেকে দেশের অর্থনীতি নিয়ে সমালোচনা করেছেন। কিন্তু মহামারীকালেও অর্থনীতি গভীর সংকট থেকে বের হতে পেরেছে। কিন্তু এটা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সময় এখনো আসেনি। উন্নয়নের এ ধারা ধরে রাখতে হবে।’

ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘জনতা ব্যাংক সব দিক থেকে ভালো অবস্থানে নেই, তবে এখন সব বাধা ওভারকাম করতে হবে। খেলাপি ঋণ আদায়, মূলধন ঘাটতি ও ক্ষুদ্র ঋণে অনেক পিছিয়ে আছে। গুণগত সেবা ও গ্রাহক সেবার দিকেও ঘাটতি রয়েছে। গত এক বছর কোভিড-১৯ কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন এদিকে আরও জোর দিতে হবে।’

তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে নজির স্থাপন করেছে। দাতা সংস্থাগুলো দেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে অনেক সমালোচনা করলেও মহামারীতে প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি হয়েছে। দারিদ্র্য, কৃষি, অবকাঠামো, শিল্প , পরিবহন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর