মিনিটে ৬ হাজার। দিনে ৪০ লাখ। এরপরও চাহিদা মেটাতে খেতে হচ্ছে হিমশিম।
বিভিন্ন দেশের জন্য এসব সিরিঞ্জ উৎপাদন করছে হিন্দুস্তান সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল সার্ভিস (এইচএমডি)।
ভারতের সবচেয়ে বড় সিরিঞ্জ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাজীব নাথ বিবিসিকে জানান, প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশ থেকে তার কাছে সিরিঞ্জের ক্রয়াদেশ আসে। এই মুহূর্তে সিরিঞ্জ তৈরির অন্তত ৪০টি আবেদন আছে তার কাছে।
তিনি জানান, সেসব আবেদনের চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে পারবেন কি না তা নিয়ে সন্দিহান। এমন বাস্তবতায় নতুন করে ক্রয়াদেশ নিচ্ছে না তার প্রতিষ্ঠান।
করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর গত বছর থেকে বিশ্বজুড়ে চাহিদা বেড়েছে সিরিঞ্জের। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশকে করোনার টিকাদানের আওতায় আনতে অন্তত ১ হাজার কোটি সিরিঞ্জ দরকার।
ভারতের এইচএমডি প্রতি বছর ২৫০ কোটি সিরিঞ্জ বানায়। মহামারিতে সিরিঞ্জের চাহিদা বাড়ায় তাদের উৎপাদনও বাড়াতে হচ্ছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তারা ২০২১ সালে ২৭০ কোটি সিরিঞ্জ তৈরি করতে পারবে।
বিপুল পরিমাণ সিরিঞ্জ তৈরি করা খুব সহজ কাজ নয় বলে জানান রাজীব নাথ।
তিনি বলেন, ‘চলতি বছর সিরিঞ্জের চাহিদা মেটাতে আমাদের আরও ১ হাজার কর্মী নিয়োগ দিতে হয়েছে; তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হয়েছে। মানে ছাড় না দিয়ে দ্রুত উৎপাদন বাড়াতে এর বাইরেও নানা ধরনের কাজ করতে হচ্ছে।’
এইচএমডির এ কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইতালি থেকে এখন বেশি ক্রয়াদেশ আসছে। পাশাপাশি ইউরোপের অন্য দেশগুলো থেকেও ক্রয়াদেশ পাওয়া যাচ্ছে।
সিরিঞ্জ তৈরিতে মানতে হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মান। যেহেতু অল্প সময়ে বেশি সিরিঞ্জ তৈরি করতে হচ্ছে, তাই সময় কমিয়ে এনে ডব্লিউএইচওর সঙ্গে সমন্বয় করা প্রয়োজন বলে মনে করেন রাজীব নাথ।
সমন্বয় সহজ হলে আরও বেশি সিরিঞ্জ তৈরি করা যাবে বলে মনে করেন রাজীব।
ভারতের সবচেয়ে বড় সিরিঞ্জ ও মেডিক্যাল ডিভাইস তৈরির কারখানাটির যাত্রা শুরু ১৯৫৭ সালে। হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ শহরের কারখানাটি উৎপাদনে যায় ১৯৫৯ সালে।